নুরুল আমিন হেলালী::
ক্যাম্পাসে ৪টি ইএটেন্ডেন্স মেশিন লাগানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের গলায় ঝুলানো স্মার্ট কার্ড রিডেবল মেশিনে দেখিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করছে। শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত, ক্ষুদে বার্তা গেলো গার্ডিয়ানের মুঠোফোনে। স্কুল ছুটি হলে স্মার্ট কার্ড আবার রিডেবল মেশিনকে দেখালো। গার্ডিয়ান মুঠোফোনে এবারও বার্তা পেলো তার সন্তান স্কুল থেকে বের হয়েছে। চমৎকার এ দৃশ্যায়নের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে ককসবাজার সদরের অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। জানা যায়, ককসবাজার জেলার মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহারে বিদ্যালয়টি প্রথম। তাছাড়া, পুরো ক্যাম্পাস ফ্রি ওয়াইফাই জোন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষামুলক কাজে ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিচরণ করতে পারে অনায়াসে। প্রতিটি ক্লাসরুম সিসিটিভি’র আওতায় রয়েছে বলে সার্বিক তদারকি সহজ হয়েছে। জানতে চাইলে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক একেএম আলমগীর জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযোদ্ধা হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে আমরা তৈরী করছি। শিক্ষকরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে পারদর্শী বলে শিখন-শিখানো কার্যক্রম ফলপ্রসু হয়। স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি বেড়েছে, এটি আনন্দের। সিসিটিভি’র মাধ্যমে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া তদারকির ফলে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণি কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে। শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, শিক্ষাঙ্গণ ডট কমের প্রযুক্তিগত সেবা নিয়ে চলতি বছর থেকে বিদ্যালয়কে পরিপূর্ণ ডিজিটাল স্কুল হিসেবে তৈরী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া ও স্মার্ট কার্ডের ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ইএকাউন্টিং, ইরেজাল্টসহ আইএমএস’র অন্যান্য সেবা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। স্বঅবস্থান থেকে সবার সম্মিলিত আন্তরিকতায় এটি সম্ভব হয়েছে। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে কার্যকরভাবে তৈরী করা সুযোগ পেয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরাও জেনে গেছে, ককসবাজার জেলার মধ্যে স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে তাদের বিদ্যালয় প্রথম। তাই স্মার্ট কার্ড গলায় ঝুলাতে পেরে নিজেরাও খুশি। ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কেবিনেট সদস্য নুসাইব মাহমুদ আদিল,নাবা,তৃষা,আকিলসহ শিক্ষার্থীরা জানায় , স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পর থেকে শ্রেণিতে উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। আমরা খুবই আনন্দিত। স্মার্ট কার্ড তৈরীর পেছনে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও পরিশ্রম করেছে। এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাইয়েস্ট শ্রেণি হিসেবে আমাদের অনুভূতি অন্যরকম, যোগ করেছেন কেবিনেট প্রধান তানিম রহমান।