ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ ‘মসজিদে কুবা’। মহানবী (সা.)-এর নির্মিত মদিনার সন্নিকটে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদে কুবা বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। প্রথম হিজরিতে নির্মাণের পর এবারই প্রথম এত বড় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মদিনা মুনাওয়ারা সফরকালে বিখ্যাত কুবা মসজিদ সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
যত সংখ্যক মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন
জানা গেছে, মসজিদটি ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। যেখানে একসঙ্গে ৬৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বর্তমানে এর পরিধি পাঁচ হাজার ৩৫ বর্গমিটার।
কুবা সেন্টারে এখানকার ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলো নথিভুক্ত করার পাশাপাশি মসজিদের আশপাশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা হবে। কুবা মসজিদ ঘিরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কূপ, খামার, বাগান ও মহানবীর তিনটি পথসহ মোট ৫৭টি স্থান রয়েছে। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হজযাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের সওয়াব
মসজিদে কুবায় নামাজ পড়ার অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এক বর্ণনায় এসেছে, ‘নবী কারিম (সা.) প্রতি শনিবার কুবা মসজিদে আসতেন, কখনও পায়ে হেঁটে, কখন আরোহণ করে।’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড : ০২, হাদিস : ১১১৯)
উসাইদ ইবনে খুদাইর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘মসজিদে কুবায় নামাজ, ওমরাহর সমতুল্য।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২২৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১১)
সাহাল ইবনে হানিফ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে একটি ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।’ (সুনান ইবনে মাজাহ, খণ্ড : ০১, হাদিস : ১৪১১