কক্সবাজার প্রতিনিধি: মহেশখালি উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের সাপমারারডেইল এলাকায় তুচ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাদের বাহিনীর নেতৃত্বে বুধবার সকাল ৮টায় ব্যাপক গুলাগুলি হয়েছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ১৩ই জানুয়ারি কাদের লবন মাঠের সীমানা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। এ সময় জমির মালিক আব্দু রহমানের ছেলে রহিম কাদেরকে আইল দিয়ে না হাটার জন্য নিষেধ করে। কাদের কথা না শুনলে প্রথমে দুজনের হাতাহাতি শুরু হয়। এতে করে রহিমের ঘরে জানাজানি হলে তার বোন সোহাগী দৌড়ে আসে। কাদেরসোহাগীকেও মারধর করে বলে জানা যায়। ফলে রহিম পাড়ার লোকজনকে নিয়ে কাদেরের উপর হামলা করেন। এতে কাদেরের মাথা ফেটে রক্ত বের হয় এবং গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে বাসা থেকে এসে গুলাগুলি করেন।
এদিকে সোহাগীর উপর নির্যাতনের কারণে তার চাচা বাদী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অভিযোগ গ্রহন করে এবং উভয় পক্ষকে গত ১৩ জানুয়ারি উভয় পক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ প্রদান করলেও কাদের বিচার না মেনে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে নুরুল কাদের রানা প্রকাশ (বেহা পুয়া) একজন প্রতিষ্টিত ডাকাত, ইয়াবা এবং অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। এমন কি সে টাইগার এবং কালুসহ জোড়া খুনের আসামী। আর সেই কুখ্যাত কাদেরের পক্ষে মামলা হওয়ায় জনগন আতংকিত ও অবাক হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে, আইনের আশ্রয় পাওয়ার পরেও মহেশখালী থেকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে সেই পুরনো তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শত শত এলাকাবাসীর সামনে করিম এবং সোহাগীকে তুলে আনার জন্য গতকাল আনুমানিক সকাল ৮ টার সময় প্রায় ৭/৮ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে। ফলে নিরীহ গ্রামবাসী ডাকাত ভেবে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে আহত হন নারী পুরুষ অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারমান কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একদল সন্ত্রাসী এলাকায় এসে গুলাগুলি করলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বলে জানান।
অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই সুজন মাহমুদ জানান, গুলাগুলির ঘটনা হচ্ছে এমন খবরে পুলিশ ফাড়ি থেকে তাকে পাটানো হয়েছিলো তবে পুলিশ পৌছার আগেই মুখোশধারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাসুত্রে জানতে পারে ৫/৭ জন লোক গুলাগুলি করে সাপমারারডেইলে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটালো।
- See more at: http://www.bd24live.com/bn/article/116968/index.html#sthash.xLny0YdW.dpuf