প্রকাশিত: ৩০/০৭/২০১৬ ২:৩৯ পিএম

bidডেস্ক রিপোর্ট ::

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনার মধ্যে জাপানের অর্থায়নে বাংলাদেশের অন্যতম বড় প্রকল্প মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

এ নিয়ে জাপানের একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবর দেখে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হ্যাঁ (স্থগিত করা হয়েছে)।

“ওরা (দরপত্রে যারা অংশগ্রহণ করবেন) মনে করছে যে, এই মুহূর্তে টেন্ডার না করাটা বেটার।”

দরপত্রের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল গত ২৪ জুলাই। এতে জাপানের তোশিবা করপোরেশন ও মিতসুবিসি হিতাচি পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছিল।

গত বছরের অগাস্টে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ‘অত্যাধুনিক’ ক্ষমতার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার।

কয়লা ওঠা-নামার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গেই একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়টিও প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে।

শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলশানে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ সরকার দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহত বিদেশিদের মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানের নাগরিক, যারা ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

দরপত্র স্থগিতের বিষয়ে জাপানের সরকারি সংস্থা জাইকা লিখিতভাবে কিছু জানায়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল।

“আমি বিষয়টা নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ও জাইকার বাংলাদেশ প্রধানের সঙ্গে কথা বলব।”

কতদিনের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া আবার শুরু হতে পারে- জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ওরা (দরপত্রে অংশ নিতে আগ্রহীরা) কোনো সময় দেয় নাই।”

মাতারবাড়ি ২x৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রোজেক্ট’-এর কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবরে শেষ হবে বলে বলে কার্যপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

বিদ্যুৎ সংকটে থাকা বাংলাদেশে বর্তমানে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে গ্যাস থেকে; কয়লা থেকে আসে ৩ শতাংশেরও কম। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে, যার মধ্যে অর্ধেক আসবে কয়লা থেকে।

প্রকল্পের সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ‘আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’ ব্যবহার করা হবে, যাতে কেন্দ্রের কর্মদক্ষতা হবে ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ।

বাংলাদেশের বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর গড় কর্মদক্ষতা ৩৪ শতাংশের বেশি নয়।

দীপ উপজেলা মহেশখোলীতেই প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ লক্ষ্যেই জাপান ছাড়াও আরো তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে চীন ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও যৌথ উদ্যোগ চুক্তি করেছে সরকার।
সুত্র: বিডিনিউজ২৪

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার ঠাকুরদিঘি এলাকায় লবণবাহী ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ...

জাসদ কার্যালয়ের জায়গায় ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ নির্মাণের ঘোষণা

বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙ্গে ফেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) ...

বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, আটক ৩৩

বান্দরবানের আলীকদম সীমান্তে বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা। আজও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক ...