বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোর থেকে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নদীতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মহেশখালীর ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রোববার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে সিকদার পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাড়ের মানুষ। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে একটানা মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোর থেকে মহেশখালীতে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মহেশখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। তাদের সহায়তায় আমাদের পৌরসভার লোক কাজ করছে।
মহেশখালীর বাসিন্দা রাজেন সালেহ বলেন, কোহেলিয়া নদীর পাশে যে বেড়িবাঁধটি আছে সেটি ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আরও কয়েকটি জায়গায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি চাকমা বলেন, বেড়িবাঁধের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। পানি কমলে তা মেরামত করা হবে