নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের সন্ত্রাস কবলিত জনপদ মহেশখালীর শাপলাপুরে জামায়াতের অস্ত্রধারী ক্যাডারের ভয়ে শতাধীক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেনি।আর দীর্ঘ সাড়ে আট বছর পর্দার অন্তরালে থাকা সাবেক সাংসদ’র রাজনীতি শুরতেই শাপলাপুরে ঈদের জামায়াতে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছে মহেশখালীর (দক্ষিণ) জামায়াতের আমির জাকের হোছাইনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন জামায়াত ক্যাডার।
পরে খবর পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শাপলাপুরে ঈদের জামায়াতে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টাকারী ৫ জামায়াত ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে । ২৬ জুন মহেশখালীর শাপলাপুর বুদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র, ৪টি কিরিচ, ৬ রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গেছে। ধৃতরা সবাই জামায়াত ক্যাডার।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ধৃতরা সবাই জামায়াতের ক্যাডরা। এদের বিরুদ্ধে বিগত সময়েও নাশকাতার অভিযোগ ছিল।
এ ছাড়া জামায়াতের আমির জাকের হোছাইন ঈদের জামায়াতে সরকার বিরোধী বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে।
ধৃতরা হল শহীদুল্লাহ পিতা – এজালাশ মিয়া, বুদা পাড়া, শফিউল আলম পিতা- মৃত আলী মিয়া,সাং পশ্চিম পাড়া, ৫ নং ওয়ার্ড, আতাউর রহমান পিতা নুর মোহাম্মদ , সাং খুশিয়ার পাড়া, আশরাফ হোছাইন পিতা এমদাদুল হক, বুদাপাড়, ও মোহাম্মদ হানিফ পিতা-মনজুর আহমদ সাং মৌলভীকাটা, শাপলাপুর।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল হক জানিয়েছেন, ধৃতরা সবাই অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকার বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। জাকের হোছাইনের বিরুদ্ধে এর আগেও নাশকতার অভিযোগ আছে। জামায়াতের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের কারণে অন্ততঃ শতাধীক লোক ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেরি। যার ফলে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।