মহেশখালী প্রতিনিধি
অবশেষে উপকূলীয় দ্বীপ মহেশখালীবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে চলেছে। মহেশখালীর সাথে কক্সবাজারের সংযোগ করার লক্ষ্যে ফেরি সার্ভিস স্থাপন করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন। গত রবিবার সকাল ১১টায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুর উর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যর একটি প্রতিনিধিদল মহেশখালী দ্বীপের সম্ভাব্য ৩টি স্থান সরজমিনে পরিদর্শন করেন। মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকসহ জেলা পরিষদ প্রশাসক খাঁন বাহাদুর মোস্তাক আহাম্মদ চৌধুরী সম্ভাব্য এ তিনটি স্থান পরিদর্শন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন দলের সাথে দু’পারের ল্যান্ডিং পয়েন্টে সড়ক ও টার্মিনাল স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা করেন। সম্ভাব্য স্থান ৩টি হচ্ছে, মহেশখালীর গোরকঘাটার সী-বীচ থেকে কক্সবাজারের নাজিরার টেক, মহেশখালী জেটিঘাট থেকে চৌফলদন্ডি ঘাট এবং আদিনাথ জেটি হয়ে চৌফলদন্ডি ঘাট। এ তিনটি সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করে উপযুক্ত ও টেকসই স্থানে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।
মহেশখালী দ্বীপের সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষের দীর্ঘ দিনের গণদাবি ছিল মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌ রুটে ফেরি সার্ভিস বা সংযোগ ব্রীজ স্থাপন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দীর্ঘ দিন থেকে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করে আসছিল। যুগ যুগ ধরে মহেশখালী জেটিঘাটে যাত্রী হয়রানি ও ভোগান্তির বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করে আসছিল। বর্তমান সরকারের আমলে মহেশখালী কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ফেরি সার্ভিস চালুর বিষয় নিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিদর্শক দলের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ারুল নাসের, মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত -ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ, মহেশখালীর প্রথম পৌর প্রশাসক এম আজিজুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শফিউল আলম সাকিবসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ফেরি সার্ভিস চালু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ ও দ্রুত গতিতে বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করার জন্য কোস্ট ট্রাস্ট মহেশখালী শাখার সমন্বয়কারী মকবুল আহমেদ, কোস্ট ট্রাস্টের উপজেলা সিটিজেন ফোরামের সদস্য ও হোয়ানক সিটিজেন ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী পৌর সিটিজেন ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক আবুল বশর পারভেজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পরির্দশক টিম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা পরিষদ প্রশাসক খাঁন বাহাদুর মোস্তাক আহাম্মদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) আনোয়ারুল নাসেরকে স্বাগত জানান। তবে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা দীর্ঘ দিন ধরে কক্সবাজার-মহেশখালীর ফেরি ঘাটের অব্যবস্থাকে পুঁজি করে যারা সুবিধা ভোগ করছে তারা গোড়াতেই ফেরি চলাচলের অনুপযোগিতার অজুহাত তুলে এ মহৎ উদ্যোগকে পণ্ড করে দেওয়ার আশংকা করছেন। এ ব্যাপারে তারা সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
পাঠকের মতামত