মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে সম্পাদিত চুক্তিসহ ৯টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এলএনজি টার্মিনালে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ইউএস ডলার।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (ফ্লটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) স্থাপনে পেট্রোবাংলা ও ‘এক্সিলেরেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর মধ্যে সম্পাদিত খসড়া ‘টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট’, ‘ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট’ ও ‘সাইড লেটার এগ্রিমেন্ট’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে বছরে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১৫৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে কর, ভ্যাট, বীমা ও অগ্রিম আয়কর ব্যতীত পেট্রোবাংলাকে বছরে পরিশোধ করতে হবে ৯ কোটি ডলার।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ‘টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের পর ‘পারফরমেন্স বন্ড’ হিসেবে টার্মিনাল কোম্পানি দুই কোটি ডলার জমা দেবে। অন্যদিকে, টার্মিনাল কোম্পানির সার্ভিস গ্রহণের জন্য পেট্রোবাংলাকে ফিক্সড কম্পোনেন্ট ফিস হিসেবে দৈনিক এক লাখ ৫৯ হাজার হাজার ১৮৬ ডলার, অপরেটিং কম্পোনেন্ট ফিস হিসেবে দৈনিক ৪৫ হাজার ৮১৪ ডলার এবং পোর্ট সার্ভিস কম্পোনেন্ট ফিস হিসেবে দৈনিক ৩২ হাজার ডলার (অর্থাৎ দৈনিক মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ডলার) পরিশোধ করতে হবে। গ্যাসের মূল্য পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে পেট্রোবাংলা এ অর্থের সংস্থান করবে।
এছাড়া শিডিউলড কমিশনিং তারিখের ৩০ দিন আগে পেট্রোবাংলাকে সোনালী ব্যাংক বা বাংলদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর ৬ মাস মেয়াদে দেড় কোটি ডলারের এলসি খুলতে হবে। টার্মিনাল কোম্পানি ১৫ বছর মেয়াদ শেষে কোন বিনিময় মূল্য ছাড়াই টার্মিনালটি পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করবে। টার্মিনালটি নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখার স্বার্থে পেট্রোবাংলা চাইলে পোর্ট সার্ভিস এগ্রিমেন্টটি বিদ্যমান শর্তে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য চালু রাখতে পারবে।