এ.এম হোবাইব সজীব, ধলঘাটা থেকে ফিরে:
মহেশখালী উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন ধলঘাটা সাপমারার ডেইল থেকে সুতুরিয়া পর্যন্ত প্রধান সড়কটি বেহাল দশা হলে দেখার যেন কোউ নেই। এমন বেহালদশায় সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে সাংসদ আকেশ উল্লাহ রফিক ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ধলঘাটাবাসী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ধলঘাটার একমাত্র সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রোগীদেও,বাচ্চাদের স্কুলের যাওয়া আসা, কুলি মজুরদের মালামাল বহন ছাড়াও হাট-বাজারে কেনাকাটা করার একমাত্র মাধ্যম হলো ধলঘাটার সড়কটি। অনেকটা পুরা গ্রামের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম বললেই চলে।
যদিও সরকার ধলঘাটাবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য রাস্তাটির জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ শতভাগ ব্যয় করেও সামান্য অ-সম্পূর্ণ থাকায়, কিন্তু বাজেট স্বল্পতায় পার্শ্বে গাইডওয়াল পাকাপোক্ত না হওয়ায় বা মাটি সরে যাওয়ার কারনে এমনটি হয়েছে বলে জানান সাবেক ইউপি সদস্য যুবলীগনেতা আনছার সিকদার।
গেল বৃষ্টির কারনে আস্তে আস্তে সড়কটি মাটি সরে গিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় জরুরী ভাবে কিছু সংস্কার কাজ করে সড়কটি সম্পুর্ণ ভেঙ্গে পড়া থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনে জরুরী কোন প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার করে ও ইট বিছানো প্রয়োজন মনে করছে স্থানীয় এলকাবাসী।
স্থানিয় লোকজন বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই জরুরী ভিত্তিতে সড়কটির দুই পাশে ব্লক দিয়ে আর.সি.সি ঢালাই এর মাধ্যমে রাস্তাটি রক্ষা করা অতীব জরুরী। কেননা বর্ষায় জনভোগান্তি তাতে কমবে না হয় চরমে পৌছাবে বলে মনে করেন তারা।
এ সড়ক পথে প্রতিদিন চলাচল করে ধলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও স্কুলের হাজারো ছাত্রছাত্রী সহ এলাকার জনগণ।
জানা যায়, অতিসত্বর সড়কের কাজ না করলে ব্যাপক অপূরনীয় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ধলঘাটার প্রধান সড়ক দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারাও চলাচল করে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,ভাসমান তেল টার্মিনাল,এলপি গ্যাস স্টেশনের বড় বড় প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে প্রতিমাসে সরকারী উচ্চ পর্যায়ের জনগন যাতায়াত করে থাকে।
সকলের দূর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনে সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
পাঠকের মতামত