নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা মানছেনা বাংলাদেশী কৃষক ও শ্রমিকরা।
যদিও মঙ্গলবার সারাদিন উর্ধ্বমহলের নির্দেশে এ বিষয়ে মাইকিং করে সতর্ক করেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ। তথাপি নিজেদের প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের কতিপয় শ্রমজীবী মানুষ জিরো পয়েন্টে গিয়ে চাষের কাজ করছে আর কাঠ কেটে নিয়ে আসছে। এতে সচেতন মহলে চাপা আতংক বিরাজ করছে।
আতংকগ্রস্থ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সীমান্তে না যেতে মাইকিং করা সম্পর্কে বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচন্ড সংঘর্ষ চলছে রাখাইন রাজ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রন নিতে। এ কারণে সরকারী বাহিনী সেদেশের বিদ্রোহীদের দমনে সীমান্তের বনজঙ্গলে, পথে-ঘাটে মাইন পোঁতাসহ নানাভাবে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। যে সব কর্মকান্ড আর গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে সে দেশের অনেক লোক হতাহত হচ্ছে।
সে কারণে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইনে যেকোন সময় এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যেন জন্ম না নিতে পারে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে। এজন্য স্হানীয়দের জিরো লাইনের আশেপাশে আসা-যাওয়া না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যদি কেউ নিদের্শনা অমান্য করে প্রবেশ করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এর দায়ভার কেউ নিবে না, বরং তারাই নেবে আর তাদেরই বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান ।
ঘুমধুম চেয়ারম্যান ও একাধিক সচেতন ব্যক্তি জানান, মিয়ানমার অভ্যন্তরে ৩৪ সীমান্ত পিলারের নিকটের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকা এখন উত্তপ্ত।
তারা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে দু' একদিন পরপর প্রচন্ড গোলাগুলি ও আশপাশের সীমান্ত পয়েন্টে স্থল মাইন পুতে রাখছে। যাতে বাংলাদেশী লোকজন ও তাদের পোষা প্রাণী আর বন্য প্রাণী হতাহত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন।
এ অবস্থায় জননিরাপত্তার স্বার্থে মাইকিং করা হলে প্রায় লোকজন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে যাচ্ছে না। কিন্তু কিছু লোকজন এখনও এ নিষেধাজ্ঞা মানছে না। যাদেরকে আজ-কালের মধ্যে আরো বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সীমান্তে না যেতে অনুরুধ করা হবে।
এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কতৃক মাইকিং এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল সাইফ ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিজিবির নির্দেশে সীমান্তে নিরপত্তা জনিত কারণে এ মাইকিং করা হয়। যারা এ নির্দেশ অমান্য করবে তাদের পুণরায় অনুরুধক্রমে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে তারা যেন জিরো পয়েন্টে না যান।