প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ মাসের ব্যবধানে আবারও কক্সবাজার আসছেন। তিনি আগামী শনিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন ও মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার এসেছিলেন। এদিন তিনি কক্সবাজার শহরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
কক্সবাজার শহরের অদূরে সদর উপজেলার চান্দেরপাড়ায় দেশের প্রথম আইকনিক ঝিনুক আকৃতির গড়ে তোলা রেলস্টেশন। এই স্টেশনের পাশেই রেলপথ উদ্বোধনের জন্য সুধীসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন। এদিন দুপুরে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনসভায় পাঁচ লাখ জনসমাগমের প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় উৎসব শুরু হয়েছে। দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ জনসভায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ীর জনসভায় জেলার ৯ উপজেলার নেতা-কর্মীদের ওয়ার্ড পর্যায়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেকউল্লাহ রফিক বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলো মাতারবাড়ীতে বাস্তবায়ন করছেন। এ জন্য মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, এ কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুই দ্বীপ উপজেলার অন্তত তিন লাখ মানুষ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেবেন।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, ‘মাতারবাড়ী প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যোগ দেবেন বলে আশা করছি। ইতিমধ্যে চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সংগঠনের বর্ধিত সভা ডেকে প্রস্তুতি নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর উপলক্ষে চলছে প্রশাসনের প্রস্তুতিও। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা কক্সবাজারে এসে পৌঁছেছেন।
এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী সাতটি বড় প্রকল্পসহ মোট ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আরও চারটি প্রকল্পের।
এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ কক্সবাজার সফর করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সেটি ছিল তাঁর প্রথম কক্সবাজার সফর।
এর আগে ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনকালে তিনি সর্বশেষ কক্সবাজার সফর করেছিলেন। এ ছাড়া গত বছর ১৮ মে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ভবন উদ্বোধন করেন। তা ছাড়া গত বছর ৩১ মার্চ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’—প্রতিপাদ্য নিয়ে কক্সবাজারে আয়োজিত একটি জাতীয় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন।
পাঠকের মতামত