চকরিয়া প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উপদ্বীপ মাতারবাড়ীর লোকজনকে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে স্তর ভেদে শ্রমিক নিয়োগে প্রাধান্য দেয়া হবে। টুঙ্গি পাড়া নামে খ্যাত মাতারবাড়ীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি আছে বলে মাতারবাড়ীকে ২য় সিঙ্গাপুর হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে মাতারবাড়ী থেকে ২দফায় ২৬শ ১৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম প্রকল্পে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করেছে জাইক্যা। এ ছাড়া মাতার বাড়ীতে গভীর সমুন্দ্র বন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বৈদেশিক মুন্দ্রা অর্জনের জন্য মাতারবাড়ী তথা মহেশখালী বাসীর বহি:বিশ্বে যেতে হত। এখন আর যেতে হবে না। বিদেশীরা রিযিকের সন্ধানের জন্য মাতারবাড়ীতে আসতে হবে। মাতারবাড়ীবাসী অত্যান্ত সুভাগ্যবান বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আপনারা সৌভাগ্যবান চেয়ারম্যান মোঃ উল্লাহকে পেয়েছেন যিনি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করতে যাতে মাতারবাসী বাসী দুর্ভোগে না পড়ে এ আবেদন বারবার আমার কাছে তুলে ধরতেন। শনিবার মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২য় প্রকল্পের ২৭৯ জন ভূমি মালিকদের কাছে ২৫ কোটি টাকা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন উপরোক্ত কথা বলেন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আমার মাতারবাড়ীবাসীর আয়ের একমাত্র সম্বল জমি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সন্তষ্ট হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাইকার সংশ্লিষ্টদের সাথে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহর পরামর্শে আমার নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতিও ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার রুহুল আমিনসহ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে আমি কয়েক দফা বৈঠক করে জানাই যে, ২টি প্রকল্পের জন্য মাতারবাড়ীবাসীর আয়ের উৎস্য তাদের জমিটুকুর ছেড়ে নিয়ে এখন তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ২টি প্রকল্পে স্তরভেদে শ্রমিক নিয়োগে মাতারবাড়ী বাসীকে প্রধান্য দিতে হবে। জাইক্যা কর্তৃপক্ষও আমাদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছে। মাতারবাড়ী ২য় সিঙ্গাপুর হবেই হবে। কিন্তু মাতারবাড়ীবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনাদের জমির টাকা নিতে কাউকে উৎকোচ দিবেন না। অপর দিকে আপনাদের নেয়া টাকা মনের ইচ্ছে মত খরচ না করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য লাভবান ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করুন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনোয়ারুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবু আসলাম, মহেশখালী পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, সহকারী ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান প্রধানীয়, মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বি,এ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার রুহুল আমিন, এস.এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী থানার তদন্ত অফিসার নাজমূল হক কামাল, মাতারবাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ডা: কবির আহামদ, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বশির মেম্বার, মাতার বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক মোরশেদ হোছাইন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃতি ফুটবলার নবীর হোছাইন ভুট্টো, আওয়ামীলীগ নেতা কাউছার সিকদার, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি শওকত ইকবাল মুরাদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডা: সাহাব উদ্দিন, ইউপি সদস্য যথাক্রমে মুজিবুর রহমান, রিয়াজ উদ্দিন, আবদু রউফ, হামেদ হোছাইন, নাছির উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আবদুল খালেক ।