প্রকাশিত: ১৮/০৮/২০১৭ ৯:৪৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৫৬ পিএম

জসিম উদ্দিন টিপু,টেকনাফ::
খেলাধুলা মানুষের মনকে বিকশিত করে-যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। টেকনাফের বদনাম ঘোচাতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। কারণ খেলাধুলা যুব সমাজকে মাদক থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়। তাই যত বেশী ক্রীড়ার চর্চা হবে;তত বেশী যুব সমাজ মাদক থেকে দূরে সরে যাবে। উঠতি বয়সের যুবকদের বাঁচাতে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনেক বেশী ভূমিকা রাখবে। মাদকের ছোবল থেকে উঠতি বয়সের যুবকদের রক্ষা করতে ঘন ঘন খেলাধুলার আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রণয় চাকমা বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে জড়িতরা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারবেন। ১৮ আগষ্ট উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রথম বিভাগ ফুটবল টূর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। খেলায় ট্রাইবেকারে জেপি নাফ লায়ন ক্লাব ইয়ং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা রাখেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি ও টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাইন উদ্দিন খাঁন। অন্যান্যদের মাঝে বক্তৃতা রাখেন, টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আলম বাহাদুর, টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া। এতে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা, টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মৌলভী মুজিবুর রহমান, প্যানেল মেয়র-২ সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মনির, কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, হোসন আহমদ, টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হোছাইন, প্রবীণ সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল কবির, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন জেপি নাফ লায়নের গোল রক্ষক জুবাইর। টূর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন জেপি নাফ লায়নের মনজুর। শ্রেষ্ট গোলদাতার পুরস্কার লাভ করে একই দলের স্ট্রাইকার জাহাঙ্গীর। শ্রেষ্ট গোল রক্ষকের পুরস্কার লাভ করেন ইয়ং বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাবের কামাল। টূর্ণামেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পিছনে যারা ভুমিকা রেখেছেন টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ, সমন্বয়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান খোকন, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদ, সদস্য তোয়াক্কুল হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, জসিম উদ্দিন টিপু, নুরুল হোসেন, মুহাম্মদ উল্লাহ, রেজাউল করিম রেজা ও বাবুল শর্মা। খেলায় প্রধান রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন আলী আকবর বাঘা, সহকারী রেফারী হিসেবে ছিলেন আব্দু শুক্কুর ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। চতুর্থ রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন কানন বড়–য়া কালা।#

পাঠকের মতামত

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসছে বাংলাদেশে, প্রদর্শনী হতে পারে কক্সবাজারে

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগামী আসর বসার কথা পাকিস্তানে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। তবে মূল ...