উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) শহিদুল হক বলেছেন,"মাদক জঙ্গীদের চেয়ে আরও খারাপ। জঙ্গীরা একটা মানুষ হটাৎ করে মেরে ফেলে। কিন্তু যদি কেউ মাদকাসক্ত হয় সে তিলে তিলে মৃত্যূর দিকে ধাবিত হয়। আর মৃত্যূর আগে বাবার টাকা পয়সা যা কিছু আছে নষ্ট করে দেয়। সে আর মানুষ থাকে না অমানুষ হয়ে যায়। একটি সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয় পুরো পরিবারের সুখ শান্তি নষ্ট হয়ে যায়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ শেষে উপজেলা পরিষদ মাঠে ভাঙন কবলিতদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক নিমূলে পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের হাজার হাজার মামলা হচ্ছে। শুধু পুলিশ মামলা দিয়ে মাদক নিমূল করতে পারবে না। সন্তান যাতে মাদকাসক্ত না হতে পারে সে দায়িত্ব পরিবাকেই নিতে হবে। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নিয়েছি। পুলিশের প্রতিটি সদস্যের একদিনের বেতনের অর্থ দিয়ে মাদকাসক্ত চিকিৎসা সহায়ক কমিটি করা হবে। এ কমিটির মাধ্যমে অস্বচ্ছল পরিবারের যারা মাদকাসক্ত হয়ে গেছে তাদের চিকিৎসা করা হবে। কোন বিত্তবান বা ধনাঢ্য ব্যক্তি যদি এ ফান্ডে টাকা দিতে চান আমরা নিব। "
আইজিপি বলেন, "জঙ্গী নিমূলে পুলিশের অনেক সাফল্য রয়েছে। জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হলে অভিভাবকদের সন্তানের দিকে নজর রাখতে হবে। সে কোথায় যায় কার সাথে মিশে এসব খোজ খবর রাখতে হবে। জঙ্গী মাদক এসব সামাজিক সমস্য যদি আমরা দূর করতে না পারি তাহলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমরা জনমত তৈরি করতে চাচ্ছি. জনগণ এই জঙ্গীদের বয়কট করবে, বঙ্গবন্ধুর দেশে কোন জঙ্গী আস্তানা হবে না। ১৫ আগষ্টের শোক দিবসে জঙ্গীরা হামলা পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের প্রতিহত করছে। আত্মঘাতি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গী সাইফুল নিহত হয়েছে।"
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের এমপি নাভানা আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পূর্বাঞ্চাল) মমতাজ উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চাল) মোহাম্মদ আলী, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।