জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেছেন- মাদক ব্যবসায়ি, গরু চোরাকারবারি, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। এসব অপকর্মে জড়িতরা যে দলেরই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। চুরি-ডাকাতির মতো ঘটনাও যেন কোথাও না ঘটে। রামুর দূর্গম ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে একটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ওই সড়কসহ পাশর্^বর্তী এলাকাগুলোতে অপহরণ-ডাকাতির মতো অপরাধ কর্মকান্ড আর ঘটবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রামু উপজেলাকে অপরাধমুক্ত ও মডেল উপজেলায় রুপান্তর করা হবে।
রামু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এসব কথা বলেন। সোমবার, ২৯ এপ্রিল সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা পরিষদের হিমছড়ি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন- রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাসান ভূইয়া, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ রফিক, রামু প্রেস ক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন রকি, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মো. আমান উল্লাহ, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন প্রমূখ। এছাড়া সভায় রামু উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকাল ১০ টায় রামু উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।