বাশখাঁলী উপজেলার পুইছঁড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। নিহত ছাত্রীর নাম জেবুন্নেছা নয়ন(১২)। সে স্থানীয় এলাকার জাফর আলমের মেয়ে। সে পুঁইছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহষ্পতিবার (১৯মে) সন্ধ্যায় বাঁশখালী থানার ওসি(তদন্ত) কামাল উদ্দিন নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছেন।
নিহতের মা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, তিনি বেলা ১১টার দিকে স্বামীকে ডাক্তার দেখাতে পেকুয়ার যান। এসময় তার মেয়ে নয়নকে বাড়িতে রেখে যান। বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসা শেষে তারা বাড়িতে ফিরেন। ঘরে ফিরে তারা বারান্দার সিলিংয়ে নয়নের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
নয়নের পিতা জাফর আলম জানান, বসতভিটার জায়গা নিয়ে তার সৎবোন রিনা আক্তার এবং তার স্বামী আনোয়ার কবির হিরুর সাথে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে তাদের সাথে মামলা-মোকাদ্দমাও চলছে। আগামি ২৮তারিখ আদালতে মামলার দিন ধার্য্য রয়েছে। এরই জের ধরে সৎবোন ও তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তার নিষ্পাপ মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তার।
স্থানীয়রা জানান, জাফর আলমের সাথে সৎবোন রিনা ও তার স্বামী আনোয়ার কবির হিরুর সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রায় ৭-৮বছর আগে হিরু ঘর-জামাই হিসেবে থাকত। জাফর আলম তার মেয়ে নয়নকে একা বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের কাছে যায়। সে সুযোগে তাকে হত্যা করে। পরে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য ঘরের সিলিংয়ে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন জানান, গলায় ও মাথার চুলের ঝুটি রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় ঘরের বারান্দার সিলিংয়ের সাথে ঝুলানো ছিল নিহত নয়ন।
নিহতের দাদি হোসনে আরা বেগম, ফুপি রিনা আক্তার ও তার স্বামী হিরু পালিয়ে গেছে। সুরতহাল রির্পোট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত