[caption id="attachment_1599" align="alignleft" width="521"] মালেশিয়ায় আটককৃতরা[/caption]
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া : ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের মধ্যে অভিবাসীদের পাচার করার অপরাধে চারজন অবৈধ অভিবাসীকে অভিযুক্ত করেছে মালয়েশিয়া ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। মালয়েশিয়ার স্ট্রেইটস টাইমস অনলাইন সুত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের একজন রোহিঙ্গা। তার নাম শহিদুল্লাহ, বয়স ১৮ বছর। দ্বিতীয় ব্যক্তি ৩২ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম। সে বাংলাদেশের নাগরিক।
আর তৃতীয় ব্যক্তি ৩২ বছর বয়সী থাইল্যান্ডের নাগরিক বিয়াও ওং চুমপু। চতুর্থ ব্যক্তিও মায়ানমারের রোহিঙ্গা। তার নাম মমটিন ওরফে দাস মোহাম্মাদ। ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইজমি ইব্রাহিমের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, সে ২০১৪ সালের আগস্ট এবং ২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে মায়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদ বেলাইকে বুকিত ওয়াং বার্মা এলাকায় পাচার করে।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানব পাচারের তিনটি অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগ হলো, সে বাংলাদেশের নাগরিক মোহাম্মদ নুরবাসিয়াকে ২০১৪ সালের অক্টোবর এবং ২০১৫ সালের মে মাসের মধ্যে বুকিত গেন্টিং পেরাহ এলাকায় পাচার করে। দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, সে ২০১৪ সালের অক্টোবর এবং ২০১৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে দেলোয়ার নামে আরেক বাংলাদেশী নাগরিককে বুকিত গেন্টিং পেরাহ এবং বুকিত ওয়াং বার্মা এলাকায় পাচার করে। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযোগও জয় নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে পাচার করার।
তৃতীয় অভিযুক্ত থাই নাগরিক বিয়াও ওং চুমপু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, ২০১৪ সালের অক্টোবর এবং ২০১৫ সালের মে মাসের মধ্যে সে বাংলাদেশি অভিবাসী মো: তিফাজির হোসেনকে পাচার করেছে। চতুর্থ অভিযুক্ত মমটিনের বিরুদ্ধেও একই ধরণের অভিযোগ।
অভিযুক্ত সবারই মানবপাচার বিরোধী আইনে বিচার হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের জেল অথবা জেল-জরিমানা দুটিই হতে পারে। অভিযোগ গঠনের সময় রাষ্ট্রপক্ষের তিনজন আইনজীবি থাকলেও, আসামীপক্ষে কেউ ছিলেন না। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে মালয়েশিয়ার পুলিশ সর্বমোট ১৩৯টি কবর আবিষ্কার করে যার মধ্যে ১০৬টি মৃতদেহই রোহিঙ্গাদের বলে ধারণা করা হয়। বিষয়টি তখন আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে যায়। মালয়েশিয়া সরকারও মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে টানা অভিযান এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে।