নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গত দেড় মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছেন না। এতে সেবাবঞ্চিত হয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ইউনিয়নবাসী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে আছেন।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ১৭ জুলাই ঘুমধুমের আলোচিত রতন বড়ুয়া হত্যার ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা হয় যার মামলা নং: জি.আর. ৪৮/২৪। তাছা তার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ভোটার করার অভিযোগে আরো একটি মামলা রয়েছে যার মামলা নং: সি.আর. ৩৪/২০২১।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, সেবাপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন আবেদন নিয়ে গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী। অনেকে বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে যাওয়া নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনের আবেদন নিয়ে এসে দেখি চেয়ারম্যান নেই, পরিষদ তালাবদ্ধ। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো অনেকে ফিরে যাচ্ছে।
প্রত্যয়ন নিতে যাওয়া আলী হোসেন চেয়ারম্যান না থাকায় অসম্পূর্ণ প্রত্যয়ন নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনান সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি।
১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হওয়ায় আমরা সকল ইউপি সদস্য/সদস্যা সহ পরিষদে দায়িত্বরত সবাই কর্মবিরতি পালন করতেছি।
৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা হয়ছে, শীঘ্রই তিনি পরিষদে যোগদান করবেন, তবে কবে নাগাদ যোগদান করবেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
ইউপি সদস্যা ফাতেমা বেগম বলেন, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জনগণ চরম ভোগান্তিতে আছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কামাল বলেন, ‘চেয়ারম্যান কয়েকদিন থেকে পরিষদে আসছেন না। এতে করে জনগণকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আমরাও সেবা প্রত্যাশীদের খুব যন্ত্রণায় আছি।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, জনগণের ভোগান্তি নিরসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় সহ আমি ঘুমধুম ইউপি সদস্য/সদস্যা, সচিব সহ পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একজন ভারপ্রাপ্ত নিয়োগ করার বিষয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেব।