মা জোসনা আক্তারের (৫২) দেয়া একটি কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন ছেলে অপূর্ব মিয়া (২৭)। শুক্রবার প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করে মায়ের দেয়া একটি কিডনি ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের বাহাগুন্দ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে অপূর্ব মিয়া।
মিরপুরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে এ কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় বলে শনিবার বিকেলে নিশ্চিত করেন, অপূর্ব’র চাচাতো ভাই জামিল হোসেন কাজল।
তিনি বলেন, অপূর্ব ও তার মা দুজনই ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে এবং দুজনই আশঙ্কা মুক্ত। তবে তাদের স্বাভাবিক হতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।
অপূর্ব’র পরিবারের বরাতে জানা গেছে, আব্দুল মালেক ও জোসনা আক্তার দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় অপূর্ব মিয়া। এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করা অপূর্ব স্থানীয় বেখৈরহাটি বাজারে পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করতেন। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
গত চার মাস আগে হঠাৎ করে তার রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তারপর কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, অপূর্ব’র দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। তাকে বাঁচাতে দ্রুতসময়ের মধ্যে অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন।
এ অবস্থায় ছেলের জীবন বাঁচাতে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে মায়ের কিডনি ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় । সুত্র আমারদেশ
পাঠকের মতামত