মালায়শিয়ায় বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে আজ শনিবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ ও মালায়শিয়ায় একই দিনে ঈদ উৎযাপন হওয়ায় প্রবাসীরা দেশে থাকা স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে উপভোগ করেছেন।
মালায়শিয়াতে লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছেন। তারা পরিবার থেকে দূরে, তারা তাদের কাজের সহকর্মীদের সাথে মালায়শিয়াতে ঈদ পালন করেন। মালায়শিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় দেশটির জাতীয় মসজিদ নেগারাতে। এছাড়া বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় কোলাকুলি পর্ব। এরই মধ্যে চলতে থাকে মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা।
এ ছাড়া মসজিদ নেগারায় ইয়াং দি পার্টুয়ান আগাং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতুদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ এবং রাজা পারমাইসুরি আগোং তুঙ্কু আজিজাহ আমিনা মায়মুনা ইস্কান্দারিয়া মসজিদ নেগারায় ঈদুর ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। রাজকীয় দম্পতি সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সাথে মসজিদে আসেন। ইস্তানা নেগারার বাইরে দুই বছর পর ইয়াং দি পেরতুয়ান আগাংয়ে ঈদের নামাজ আদায় করলেন।
ঈদের নামাজ শেষে দেশ, জাতি এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে আল-সুলতান আবদুল্লাহ এবং তুঙ্কু আজিজাহ নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় সুবাং জায়া বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান মারুখ গোল্ডেন রোজ এসডিএন বিএইচডি এর এম ডি মো. মনিরুজ্জামান মাসুম বলেন, এবার মালয়েশিয়া-বাংলাদেশে একই সাথে ঈদ উদযাপনে আমরা ব্যাপক ভাবে উদযাপন করেছি, এখানে মালয়েশিয়ান, চীনা ও বাংলাদেশীরা পরিবারের মতো মিলেমিশে ঈদ উদযাপন করে থাকি। এতে করে আমাদের দেশে থাকা পরিবার পরিজনের শূন্যতা কিছুটা পূরণ হয়।
এ দিকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়াস্থ দেওয়ানবাগ এসডিএন বিএইচডিয়ের স্বত্বাধিকারীরা এ আর আনোয়ার বলেন, দেশে আত্মীয় স্বজন, মা বাবা, সন্তানাধি রেখে প্রবাসের মাটিতে ঈদ উদযাপন করা খুবই কষ্টকর আমার জন্য, তারপরও তাদের কে আমরা বুঝতে দেই না আমাদের কষ্টটা। আমার মা আজ সকালে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। আমিও তখন স্থির থাকতে পারিনি।
হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রবাসী ভাইয়েরা মালয়েশিয়া সরকার নিয়ম-কানুন পালন করে ঈদ উদযাপন করবেন। তিনি সকলের এবং প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনা করেছেন।
মালয়েশিয়ায় সবসময় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকে। এবার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ায় একই দিনে ঈদ উদযাপন হওয়ায় কর্মক্লান্ত প্রবাসীদের জীবনে বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে। তাছাড়া মালয়েশিয়ায় জাতীয় ঈদগাহ মসজিদ নেগারায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সাথে দেশের সকল মানুষসহ প্রবাসীরা একসাথে নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত