কক্সবাজারে টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে ৫৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মোহাম্মদ ইয়াছিন নামে এক শীর্ষ দালালকে আটক করা হয়েছে। সে টেকনাফের মহেষখালী পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগার ছড়ার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তার সবাই উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পের বাসিন্দা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, দালালদের খপ্পড়ে পরে অবৈধভাবে সাগরপথে একটি দল মালয়েশিয়া পাচার হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনিসহ পুলিশ একটি দল ওই এলাকা অভিযান পরিচালনা করে। এতে মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত এলাকায় জড়ো হওয়া নারী ও শিশুসহ ৫৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দালাল মো. ইয়াছিনকে আটক করা হয়।
পুলিশের কাছে উদ্ধার মালয়েশিয়াগামী মোহাম্মদ সৈয়দ জানান, তিন শিশু সন্তানসহ সাগরপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করি। দালালকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি ২ লাখ টাকা ইন্দোনেশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দালালরা টেকনাফের একটি পাহাড়ে ৫ দিন আটকে রাখে। অবশেষে যাত্রার প্রস্তুতিকালে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছি। তবে দালালদের কাছে পাহাড়ে আরও অনেক রোহিঙ্গা আটক আছে।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে এক দলালসহ ৫৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।