মালয়েশিয়ার বেলান্টিকে বন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মানবপাচার চক্রের শিকার ৪শ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা। এক বছর আগে আন্দামান সাগর থেকে উদ্ধার করে তাদের নেয়া হয়েছিল মালয়েশিয়াতে। এরপর থেকেই দেশটির বন্দিশিবিরে রয়েছেন তারা।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। শিগগিরই এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৫ সালের মে মাসে তাদের নামেমাত্র বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হলেও, বিগত এক বছর বন্দী অবস্থাতেই কাটাতে হয়েছে তাদের। বন্দীদের মধ্যে ৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
ঠাসাঠাসি করে ট্রলারে তুলে কোনো খাদ্য ছাড়াই তাদের সমুদ্রে ছেড়ে দেন মানবপাচারকারীরা। গত বছর এই সময় তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি গোটা বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
প্রথমদিকে তাদের উদ্ধারে অস্বীকৃতি জানায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশ। ভুক্তভোগীরা ওই এলাকায় জেলেদের সরবরাহ করা খাবার খেয়ে বেঁচে ছিলেন। ওই সময় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি গার্ডিয়ান পত্রিকাকে জানান, পাচারকারীরা তাদের প্রচণ্ড মারধর করতেন। এমনকি চাকু দিয়ে শরীর কেটে ক্ষত-বিক্ষত করে দিতেন।
সে সময় নৃশংস ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৯০০ অভিবাসীকে গ্রহণ করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম।
তাদের মধ্যে ৬৫০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অ্যামনেস্টির গবেষকদের একজন খাইরুননেসা ধলা বলেন, মালয়েশিয়ার বন্দিশিবিরগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। মানবপাচারের ভুক্তভোগী হিসেবে আচরণ করার পরিবর্তে, এখনও তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আর এ অবস্থা চলছে এক বছর ধরে। সূত্র জাগো নিউজ
পাঠকের মতামত