॥ স্মৃতি রোমন্থন ও আত্মোপলব্ধি ॥
আজ হতে অনেক শীত বসন্ত আগে!
প্রায় তিন দশকের পুরোনো ছবি এটি!
সুবহানআল্লাহ! হাউ টাইম ফ্লাইস!
.
এইতো জীবন! শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব আর অবশেষে বার্ধক্য। চোখের পলকে নিমেষেই যেন কেটে যায় জীবনের এই মধুর সময়গুলো।
.
জীবন থেকে একেকটা বছরের বিদায় মানে— আমাদের জন্য একটা করে নতুন রিমাইন্ডার। আর সেটা হল: ক্ষণস্থায়ী এদুনিয়া ছাড়তে হবে শীঘ্রই। আদতে, চিরস্থায়ী জগতের জন্য কতটুকু প্রস্তুত আমরা সবাই? প্রস্তুতি থাক বা না থাক, ধীরে ধীরে এজীবন কিন্তু ফুরিয়ে যাচ্ছে। একেকটা বছরের বিদায়ে মূলত আমরা বড় হচ্ছিনা বরং আমাদের নির্ধারিত সময় থেকে একেকটি বছরের বিদায় ঘটছে। এগুচ্ছি চিরবিদায়ের দিকে।
.
আসলে, এপৃথিবীটা হলো একটা ধোঁকা, মায়াজাল, আর মরীচিকা। এক মোহের আবেশে মায়াজালে আটকে আছি সবাই। মোহের ঘোর কাটতে না কাটতেই, হঠাৎ চলে যাবার ডাক এসে যাবে। এটাই পৃথিবী। বিবস্ত্র এসেছিলাম এ পৃথিবীতে, এক টুকরো কাফনের জন্য চলছি এতোটা কাল ধরে।
.
আসলে জীবন কি, জীবনের মানে কি? কোত্থেকে এসেছি, কোথায় যাবো? আল্লাহ তায়ালা কেন আমাদেরকে তাঁর প্রতিনিধি করে এপৃথিবীতে পাঠিয়েছেন? নিভৃতে এই প্রশ্নগুলো নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করুন। দেখবেন, আপনার চিন্তার জগতে এক আলোড়ন তৈরী হবে, আপনার ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হয়ে উঠবে। জীবনের মানে আপনাতেই এসে ধরা দেবে।
.
“আল্লাহ তায়ালা দুর্বল অবস্থা থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেন, তারপর এ দুর্বলতার পরে তোমাদের শক্তি দান করেন, এ শক্তির পরে তোমাদেরকে আবার দুর্বল ও বৃদ্ধ করে দেন, তিনি তাঁর ইচ্ছানুসারেই সৃষ্টি করেন। তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।”
[সূরা আল রুম: ৫৪]
.
“আর প্রত্যেকের জন্য মৃত্যুর নির্ধারিত সময় রয়েছে। অত:পর যখন নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে, তখন সেটা এক মূহুর্ত আগেও আসবে না এবং এক মূহুর্ত পরেও আসবে না।”
[সূরা আল-আ’রাফ: ৩৪]