নিউজ ডেস্ক::
দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় নেই বিএনপি।সংবাদ সম্মেলন ও চার দেয়ালের মধ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বিএনপি নেতারা। এছাড়া মাঝে মধ্যে দিবস কেন্দ্রীক কর্মসূচি এবং খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিভিন্ন মামলার রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেও মাঠে দেখা যায় না বিএনপি নেতাকর্মীদের।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কয়েকবার আন্দোলনে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। এই আন্দোলনে নেমে বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মী থেকে শুরু করে মাঠের নেতাকর্মীরা সরকারের বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে এখন পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে কোন বড় ধরনের কর্মসূচি নেই বিএনপির। দিবস কেন্দ্রীক কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করলেও মাঠে থাকে না নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বেশ হতাশ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাই শিগিরই দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু টিম গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিএনপির জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতে কাজ করবে।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা নিজেদের মাঠে না থাকার দোষ সরকারের ওপর চাপাচ্ছেন। তাদের দাবি, সরকার দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিরোধী দলের কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মাঠে নামতে দিচ্ছে না সরকার। অধিকাংশ নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে এবং গুলির ভয় দেখিয়ে সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।
তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার যেসব অন্যায় করেছে তাতে গুলি ও হামলা-মামলা না চালালে দেশের মানুষের রোষাণলে পড়ে অনেক আগেই এই সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। এ দলটি প্রতিষ্ঠা থেকে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। এখনও তাদের সংগ্রাম চলছে। তবে ভয় দেখিয়ে কেউ কাউকে দমিয়ে রাখতে পারে না। তবে হ্যাঁ সাময়িক কিছু দিন হয়তো মানুষ ভয় পায় কিন্তু এটা আর বেশিদন নয়। এর একটি সুষ্ঠু সমাধন হওয়া দরকার আর এটা হবেই। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না।
পাঠকের মতামত