ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৩/০২/২০২৫ ৯:১৫ পিএম

নূর কায়েস ও মোঃ আব্দুল আজিজ তারা দুই ভাই। টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কারক। 
তারা দুই ভাই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। এরমধ্যে একটি স্বার্থন্বেষী মহল তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের আয়ত্তে নেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। 
তবে উল্লেখ্য যে টেকনাফ স্থলবন্দরে বকশিশ নাম দিয়ে মালামাল উঠান আমায় অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় তাঁর প্রতিবাদ করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিটি ট্রাক থেকে শ্রমিকদের নামে ১০হাজার টাকা করে আদায় করা হতো। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কিছুই বদলায়নি। হাত বদল হলেও ব্যবসায়ী হয়রানির থেমে থাকেনি।ব্যক্তি বিশেষ বদল হয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নানা ধরনের অজুহাতে পন্য পরিবহন ও উঠানামা বকশিশ নামক সে টাকা গুলো দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শ্রমিকেরা তাদের মালামাল উঠালাম বন্ধ করে দেয়। এর প্রতিবাদে দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে উপজেলা, জেলা ও স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সত্যতা পায়। সেই সূত্র ধরে 
শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আন্দোলনে বিপক্ষে কথা বলায় তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন একটি মহল। 
তারা দুই ভাই বলেন, আমরা লেখাপড়া করে প্রথমে একটি সিএনএফএ চাকরি করি। দীর্ঘ সময় ধরে ওই সিএন্ডএফ-এ চাকরির সুবাদে পরবর্তীতে টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানি শুরু করি। এরমধ্যে আমরা দুই ভাইয়ে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্ষমতা বা সম্পৃক্ততাও নেই।   দীর্ঘ কয়েক বছর সুনামের শহীদ ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও বাংলাদেশের কোন থানায় আমাদের নামে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ ও মামলা হয়নি। হঠাৎ করেই ২০১৮ সালের একটি রাজনৈতিক মামলায় আমরা দুই ভাই জড়িত করায় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন  সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে মামলাতে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন রইল। 
টেকনাফ স্থল বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসায়ী নুর কায়েস ও মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ তারা প্রতি মাসে সরকারকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে আজছে। মিথ্যা ও হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দিয়ে থাকলে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হবেন। 
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ  গিয়াস উদ্দিন বলেন, শাহ আলম নামে একজন ব্যক্তি মামলার বাদী  এজাহারে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করেছেন  দিয়েছেন। তবে মামলাটি তদন্ত করে নিরপরাধ লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

পাঠকের মতামত

বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইন বন্ধ হওয়ার শঙ্কা

পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রামের রেললাইন চালু হওয়ার আগেই একবার পাহাড়ি ঢলে বেঁকে গিয়েছিল। কিন্তু ...

ইউনিয়ন হাসপাতালের একটি লোভি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার কক্সবাজারে হাসপাতাল তৈরীর কারিগর নুরুল হুদা

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে যাদের মহৎ চিন্তার বাস্তবায়নে সমাজের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসছে, যাদের ...

কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি আলম, সাধাঃ সম্পাদক আনোয়ার নির্বাচিত

বেলাল আজাদ, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল থেকে ...