বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে ভারী মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দরবান সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ মর্টার শেলের গোলার শব্দ শোনা যায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে আর কোন গোলার শব্দ শোনা যায়নি।
কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবিরি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল থেকে বান্দরবান সীমান্তের ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দ শোনা যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে আনুমানিক ১৭টি গোলার বিকট শব্দ হয়। তবে তা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভেতরে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
লে. কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমানে সীমান্তে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তারপরও মর্টার শেলের গোলার শব্দ শোনা যাওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। যে কোন ধরণের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও কাজ করছে বিজিবি।
সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ভাষ্য, তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে ভারী গুলির বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। তুমব্রু সীমান্তের ঘুমধুমের বাজারপাড়ায়, বাইশ ফাঁড়িসহ তুমব্রু রাইট এলাকায় মিয়ানমারের ভারী গুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সন্ধ্যার পর আর কোন গোলার বিকট শব্দ শোনা যায়নি। দীর্ঘদিন পর তুমব্রু সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের ভারী গুলির শব্দ শোনা গেছে। এই ঘটনায় কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টারশেল ও গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ে। তখন ঢাকার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো‘কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, জরুরি কাজে সারাদিন নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলায় ছিলাম। মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে এটা শুনেছি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে আর গোলার শব্দ শোনা যায়নি। সীমান্ত থেকে কোন বাসিন্দাকে সরানো হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।