ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/০৭/২০২৩ ৮:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ১২ যুবককে মালয়েশিয়া নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মিয়ানমার নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। তারা এখন দেশটির জেলখানায় বন্দি। তাদের মুক্ত করতে যুবকদের পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে চক্রটি।

মিয়ানমারের কারাগারে বন্দিরা হলেন- মানিকপুর গ্রামের মো. নাদিম, চৈতনকান্দার রতন মিয়া, একই গ্রামের আছান, উলুকান্দির মো. মনির হোসেন, বিশনন্দীর মো. সজীব, মো. কবির হোসেন, শরিফপুরের মো. জুয়েল, কড়ইতলার

মো. বিল্লাল হোসেন, বিশনন্দী পশ্চিমপাড়ার মো. সজীব, চৈতনকান্দার সাফায়েত হোসেন, মো. সফিকুল এবং মো. রফিকুল ইসলাম।

advertisement…
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই ১২ যুবকের পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেন।

আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহাম্মেদ বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে তার পরামর্শ মোতাবেক সকল ব্যবস্থা নেব। বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই আড়াইহাজার উপজেলায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্র ও তাদের স্থানীয় এজেন্টরা। আর মানবপাচারকারী এ চক্রের ভয়ঙ্কর ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন গ্রামের অনেক যুবক। অনেকে আবার প্রাণও হারাচ্ছেন। ওই দালাল চক্রটি ফুসলিয়ে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে আড়াইহাজার থেকে অনেক তরুণ ও যুবককে মিয়ানমারে নিয়ে বন্দি করে রাখে। মুক্তিপণ না দিলে সেই তরুণদের ভাগ্যে নেমে আসে নির্মম পরিণতি।  

এরই মধ্যে আড়াইহাজারের কড়ইতলা, রামচন্দ্রদী, মানিকপুর, চৈতনকান্দা, দয়াকান্দা, টেটিয়া ও শম্ভুপুরা থেকে অনেক যুবককে এভাবে পাচার করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় জিম্মি দশায় থাকা অবস্থায় দালাল চক্রের নির্যাতনে নিহত হন আমিনুল (৩৯) নামের এক যুবক। এসব ঘটনায় আড়াইহাজার থানা পুলিশ আবুল হোসেন নামের এক দালালকে গ্রেপ্তার করেছে।  

মিয়ানমারে আটক বিল্লাল হোসেন নামে এক যুবকের মা সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে বার্মার জেলখানায় আটকে রেখে অনেক নির্যাতন করা হচ্ছে। আমাকে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করছে ওই দালাল চক্র। আমি টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলেকে মুক্ত করে আনতে পারছি না। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। এ জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছি।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা ওকাপ নামের এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিখোঁজ ও জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছি। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ওকাপের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সুত্র:আমাদের সময়

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে এক সপ্তাহে তিন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বোমাবর্ষণ

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বৃহস্পতিবার রাখাইন রাজ্যের পাউকতাউ টাউনশিপে বিমান হামলা চালিয়ে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ...

মালয়েশিয়ায় জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ভারতীয় ইসলামী চিন্তাবিদ ও বক্তা ড. জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মালয়েশিয়া। ...