বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবিদ্ধ ২ সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার রাত ৮টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদস্যরা তাদের নিয়ে আসে হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধরা হলেন— জা নি মং এবং নিম লাইন কিং।
এর আগে, তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষায় বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৫৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। তাদের বিজিবি হেফাজতে রেখে উখিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার মধ্যরাত থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থান করছিল মিয়ানমার আরাকান আার্মির সদস্যরা। এই পাহাড়ে ছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প। কিন্তু এখন এটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। ওপারে বৃষ্টির মতো গুলির শব্দের কারণে এপারে আতঙ্কিত লোকজন।
সীমান্তবর্তী মানুষেরা জানান, মিয়ানমার আর্মির ছুড়া গুলির শব্দ শুনছে শনিবার মধ্যরাত থেকে। আতঙ্কিত লোকজন পালিয়েছে ঘর ছেড়ে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। স্থানীয়রা বলছেন, ওপারে সংঘাতের প্রভাব পড়ছে এপারে। টানা কয়েকদিন ধরে নির্ঘুম সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে এখনও চলছে থেমে থেমে গুলির শব্দ। বাংলাদেশ অংশে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তবে, তুমব্রু সড়কে বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। রোববার সকালে মিয়ানমার অংশে ছুড়া গুলিতে আহত হয়েছে তিন বাংলাদেশি।
এদিকে, সীমান্ত এলাকায় রয়েছে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও গোলাগুলির কারণে আসেনি কোনো শিক্ষার্থী। পশ্চিমকুল তুমব্রু ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান এসব কথা।
দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।