২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের সময় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নেয় অনেকে। এর মধ্যে ভারতেও আশ্রয় নেয় তারা। তাদের মধ্যে একটি দলকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাল ভারত। বৃহস্পতিবার তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি জানিয়েছেন মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত চলছে। জান্তা সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য করছে বিদ্রোহীরা। এর মধ্যেই অন্তত ৩৮ জন মিয়ানমার শরণার্থীকে ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হলো।
মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সি বলেন, ৭৭ জনকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা চলমান। মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনী ও শাসক জান্তার মধ্যে সংঘর্ষের কারণে দেরি হলেও শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আশ্রয় চেয়েছিল তারা।
বীরেন আরও বলেন, ‘কোনো বৈষম্য ছাড়াই প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছি। একজন ভারতীয় নাগরিককেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তের কাজ করছে রাজ্য সরকার।’
১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি ভারত। তাছাড়া ভারতে শরণার্থীদের সুরক্ষার জন্য কোনো আইনও নেই।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাইছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুরে সহিংসতার কারণ হিসেবে এই উদ্বাস্তুদের দায়ী করেছে তার সরকার।