মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে নতুন এক সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহতরা রামদা জাতীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
এর আগে হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গুলিবর্ষণ করার ঘটনা স্বীকার করে দেশটির সরকার।
এ ঘটনার পর সেখানকার মানুষজন নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, শনিবার সৈন্যদের ওপর একদল লোক আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি এবং বল্লম নিয়ে হামলা চালানোয় দুজন সৈন্য এবং ছয়জন হামলাকারী নিহত হবার পর, ঐ এলাকায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।
সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একপর্যায়ে প্রায় ৫০০ মানুষ সেনাদলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, সৈন্যদের সাহায্যার্থে দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা গ্রামে গুলি চালানো হয়।
তবে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নতুন প্রকাশিত ছবিতে "ব্যাপকহারে ধ্বংসযজ্ঞ" দেখা যাচ্ছে যা "পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি"।
মিয়ানমার সরকার এসব সংঘর্ষকে হামলাকারীদের খোঁজে 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' হিসেবে অভিহিত করছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অনেকেই পছন্দ করে না এবং বার্মিজদের অনেকেই তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখে।