মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘাত চলার মাঝেই জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করেছে দেশটির সামরিক শাসকরা। সেইসঙ্গে দেশটির সরকারবিরোধীদের দমনেরও হুমকি দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লায়িং।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জান্তা বাহিনী বলেছে, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ইউ মিন্ত সুয়ে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সংঘাত অনেক বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লড়াই-সংঘাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে জাতিগত বিদ্রোহীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহর দখল করছে।
অভ্যুত্থানের ৩ বছরের মাথায় এবারই প্রথম বেকায়দায় পড়েছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান। জোট গঠন করে বিদ্রোহীদের সমন্বিত আক্রমণ কিছুতেই প্রতিহত করতে পারছে না মিয়ামনারের সামরিক বাহিনী। বরং একটু একটু করে এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। গত বছর অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী জোট ‘অপারেশন ১০২৭’ নামে সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লায়িং রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এমআরটিভিতে দেওয়া ভাষণে বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সেনাদের যা দরকার তাই করবে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর দাবি, তারা ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাদের দাবি, এই সংবিধান এখনো কার্যকর আছে। ওই সংবিধানে বলা আছে, জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।