মিয়ানমারে জমে উঠেছে রাজনৈতিক আবহ। চীন দেশটির জান্তা সরকারের নির্বাচনের পরিকল্পনাকে সমর্থন দেওয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্র দেশটির গণতন্ত্রপন্থী বিরোধীদের প্রতি সমর্থন জারি রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই সমর্থন জানানো হয়। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরাবতীর প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী পক্ষ জাতীয় ঐক্যের সরকারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন। এই দুই কর্মকর্তা হলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা টম সুলিভান এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের এশিয়া অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল শিফার।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধীদের সমন্বয়ে গঠিত এই জাতীয় ঐক্যের সরকার মূলত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর যে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল তার আইনপ্রণেতাদের নিয়ে। এ ছাড়া, মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীও এই সরকারের সঙ্গে আছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর স্টেট ডিপার্টমেন্ট মিয়ানমারের পূর্বতন নাম বার্মার কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ফেডারেল, গণতান্ত্রিক বার্মার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি পথ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার জন্য তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার জন্য (জাতীয় ঐক্যের সরকারে অন্তর্ভুক্ত) গোষ্ঠীগুলোর প্রশংসা করেছেন।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন কর্মকর্তারা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রপন্থী পক্ষগুলোকে প্রত্যক্ষ সমর্থন দেবে এবং তাদের প্রতি সহায়তা সম্প্রসারিত করবে। যার মধ্যে, বার্মার জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করে—এমন বেসামরিক শাসনে দেশটির পূর্ণাঙ্গ রূপান্তরের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উল্লেখযোগ্য।’
এদিকে, বেইজিং মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অন্যতম প্রধান মিত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং গত সপ্তাহের শুরুতে চীনের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সে সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিবর্তনের জন্য জান্তা সরকারের প্রতিশ্রুতির পক্ষে কথা বলেন। একই সঙ্গে জান্তা সরকার মিয়ানমারে যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে তার প্রতি সমর্থন জানান
পাঠকের মতামত