কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি আরসার মাধ্যমে সামরিক ট্রেনিংয়ের জন্য ৫০০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে অবস্থান করছে। যারা এসব ট্রেনিংয়ে যায় তাদের দেওয়া হয় অর্থ সহায়তা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করতে যাওয়া বৈঠক থেকে চার আরসা সদস্যকে আটকের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১৫।
কিছুদিনের মধ্যে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বড় ধরনের নাশকতার বিষয়ে জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পে গোপন বৈঠক করছিলো আরসা । রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ক্যাম্পে অভিযানে যায় র্যাব। এ সময় আরসার সঙ্গে গোলাগুলি হয় বলে দাবি করে র্যাব।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার আরসা সদস্যকে আটক করার দাবি করেছে র্যাব। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১৫।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে ব্যস্ত থাকবে এ ধারণা থেকেই আরসা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।
গত বেশ কিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা এই নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিল। নির্বাচনের পূর্বে আশ্রয় শিবিরে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতেই এ পরিকল্পনা করছিল আরসা।
আরসার টর্চার সেল প্রধান ওসমান ওরফে সালমান মুরব্বির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ট্রেনিংয়ের জন্য ৫০০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে অবস্থান করছে বলে জানায় র্যাবের এ কর্মকর্তা।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চলতি বছর র্যাবের হাতে প্রায় ৭৬ জন আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেশ কিছুসংখ্যাক আরসা নেতা মারা যাওয়ার পর ক্যাম্পে আরসা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আটকরা হলেন আরসার সমস্ত ক্যাম্পের ক্যাশিয়ার মো ইউনুস প্রকাশ মাস্টার ইউনুস, মফিজুর রহমান প্রকাশ মুজিয়া, এনায়েত উল্লাহ, মোহাম্মদ জাবের প্রকাশ আমান উল্লাহ। সুত্র: দেশটিভি