মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাসহ অন্যান্য বাহিনীর ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু থেকে ১০১ জনকে টেকনাফের হ্নীলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে টেকনাফের হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত টেকনাফ ২ বিজিবি’র আওতাধীন ১৬৭ জন বিজিপি সদস্যকে হ্নীলায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল ৬৬ সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিকেলে বিজিবির তথ্য অফিসার শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন করে আরও ২ বিজিপি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে ৩৩০ জন বিজিপি আশ্রয় নিল। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। এসব বিজিপি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সরকার শুরুতে আকাশপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে মিয়ানমার আপত্তি জানানোর কারণে শেষ পর্যন্ত জাহাজে করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেটি হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠানো গেলে সবচেয়ে ভালো হতো। কিন্তু মিয়ানমার সমুদ্রপথে তাদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবছে। সুত্র; সমকাল
পাঠকের মতামত