চীনের সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলের সহিংসতা কার্যকরভাবে দমন করা না গেলে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে মিয়ানমার। এমন আশঙ্কা করছেন জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট সুয়ে। দেশটির রাজধানী নেপিডোতে জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে দেশটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলে সহিংসতা দমনে অকার্যকর ব্যবস্থাপনার কারণে দেশ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে জান্তা-শাসিত মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ মিয়ন্ত সুয়ে বলেন, ‘সীমান্ত অঞ্চলে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তা সরকার কার্যকরভাবে দমন করতে না পারলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে। তাই এটি খুব সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরো জাতিরই এখন তাতমাদোকে (সেনাবাহিনী) সমর্থন করা দরকার।’
তবে সামরিক বাহিনী এ পরিস্থিতি সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে দাবি করেন সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল মিং অং হ্লাইং। বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ’র ভয়াবহ হামলা মোকাবিলার পর সামরিক বাহিনী সফলতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর পাল্টা হামলায় এমএনডিএএ’র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমএনডিএএ জোটের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিপীড়ক সামরিক স্বৈরতন্ত্রকে নির্মূল করতেই তারা হামলা চালিয়েছিল।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে সামরিক জান্তা সরকার। এর পর থেকেই কঠিন সময় পার করছে তারা। মিয়ানমারের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শত শত জান্তা ঘাঁটিতে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী। এরই মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে মধ্যাঞ্চলীয় একটি জেলা শহর ও উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে তারা।
পাঠকের মতামত