মিয়ানমারে বিদ্যমান পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে বাংলাদেশ। রাখাইনে অস্থির পরিবেশের কারণে বাংলাদেশে যেন কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে সতর্ক পাহারা দিচ্ছে বিজিবি। এ ছাড়া বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা যেন কোনোভাবেই আসন্ন নির্বাচনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে না পারে, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে সরকার।
বুধবার (২২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে আমরা রাখাইনে কিছু নিরাপত্তা সমস্যার খবর পাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির শব্দ বা মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু রোহিঙ্গা নয়, অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোক, যারা হয়তো এই গোলাগুলিতে বা এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছে। তারাও বিক্ষিপ্তভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে বা চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে। তারা এ ধরনের কোনো অনুপ্রবেশ যেন না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে ও রাখবে।’
এ মুহূর্তে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা জানি যে, রাখাইন প্রদেশে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি সমঝোতা আছে। ফলে সেখানে যুদ্ধবিরতি ছিল। কিন্তু যে কারণেই হোক, ছোটখাটো কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে, যেটি আগে ছিল না।’
রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে আমরা অবশ্যই নজর রাখছি। এ বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে।’
ক্যাম্পের ভেতরে যে গ্রুপ আছে, সেগুলো কোনো আদর্শভিত্তিক নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এগুলোর বেশিরভাগই চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে। ক্যাম্পের ভেতরে আমাদের এপিবিএনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।’
প্রত্যাবাসনের বিষয়ে যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেটি জারি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। আশা আছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে, তাহলে দ্রুতই যেন প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারি। আমাদের প্রস্তুতির যেন কোনো ঘাটতি না থাকে।