প্রকাশিত: ১২/১০/২০১৬ ৬:১২ পিএম , আপডেট: ১২/১০/২০১৬ ৬:১৬ পিএম
বার্মায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর এ ধরনের হামলা নজীরবিহীন।
বার্মায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর এ ধরনের হামলা নজীরবিহীন।
বার্মায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর এ ধরনের হামলা নজীরবিহীন।

বিবিসি::

বার্মার রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার চারজন সেনা সদস্য এবং একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।

এছাড়া ঐ এলাকায় আরো সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে সেই মৃতদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের সংঘাতে ১২জন নিহত হয়েছে।

বার্মার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রায় ৩০০ মানুষ পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সৈন্যদের উপর আক্রমণ করে। এর আগে গত রবিবারে এক হামলায় নয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

ইয়াঙ্গুন থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তে রাখাইন প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে সংঘাত চলছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সমন্বিত হামলাগুলোর জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করছে বার্মার সরকার।

রবিবারের হামলায় নয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।রবিবারের হামলায় নয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।

তবে বিবিসি’র সংবাদদাতা বলছেন, এসব হামলার জন্য কারা দায়ী সেটি তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। কারণ সাংবাদিকদের ঐসব এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

তবে হামলাগুলোর পিছনে যদি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভূমিকা থাকে, সেটি রাখাইন রাজ্যের চলমান অস্থিরতাকে ভিন্ন একটি রূপ দেবে।

২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতায় ১০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়।

রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বার্মার নাগরিক হিসেবে স্বীকার করেনা সে দেশের সরকার। বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা মনে করে রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে।

এদিকে রাখাইন রাজ্যে এ সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সবগুলো পক্ষকে সংযম দেখানোর আহবান করেছে সংস্থাটি। http://www.bbc.com/

পাঠকের মতামত

দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রাখাইন, নতুন আশ্রয়প্রার্থীর আশঙ্কায় বাংলাদেশ

নজিরবিহীন সংকটে পড়তে যাচ্ছে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির সম্ভাবনা না থাকায় ...