সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থিদের পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দুই শতাধিক সুশীল সমাজ সংস্থা।
২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামারিক জান্তা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলে নির্মমভাবে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে হত্যা ও গুম করে নিরাপত্তা বাহিনী। হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করা হয়।
সম্প্রতি মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হেইজার চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিষয়টি হলো আমাদের একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আপনি যা চান তার চূড়ান্ত সমাধান আপনি দ্রুত করতে পারবেন না। এই নির্দিষ্ট সময়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় রয়েছে এবং এই সময়ে কিছু কাজ করতে হবে। এটি একটি প্রক্রিয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি অনেক মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে মরতে ইচ্ছুক। যে কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য একটি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন এবং তা রাতারাতি ঘটবে না। আর তাই আমি চাই তাদের বাঁচার জন্য কিছু থাকুক, মরার জন্য নয়। দীর্ঘ মেয়াদে এই ক্ষমতা ভাগাভাগি কেমন হতে পারে তা নিয়ে তাদের আলোচনা করতে হবে। তাদের আলোচনার টেবিলে থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার প্রায় ২৫০টি সুশীল সমাজ সংস্থা জাতিসংঘের বিশেষ দূতের দেওয়া পরামর্শের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে সামরিক বাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সাথে গুরুতর অপরাধ করতে উৎসাহিতের ঝুঁকি নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বিবৃতি তাদের জন্য একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করতে পারে, যারা নৃশংস উপায়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গ্রাম ও মানুষ পুড়িয়ে দেওয়া, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে।