জাগো নিউজ::
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় সংখ্যালঘু একটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। মিয়ানমারের সরকারি এবং আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
অং সান সুচির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মোংদাও শহরের কাছে মায়ু পার্বত্য এলাকায় তিন পুরুষ ও তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের শরীরের চাপাতি ও গুলির আঘাত রয়েছে।
সুচির কার্যালয়ের বিবৃতিতে ঘটনার জন্য উগ্রপন্থিদের দায়ী করা হয়েছে। নিহতরা ম্রো সম্প্রদায়ের বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর মুসলিমঅধ্যুষিত রাখাইনে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, এরপর সেনাবাহিনী যে অভিযান শুরু করে তাতে নির্বিচারে গ্রামবাসীর উপর গুলি চালানো হয়, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হয় এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, ওই অভিযানের ফলে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যান। এদের অনেকের সঙ্গে কথা বলার পর জাতিসংঘের তরফ থেকে সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের আশঙ্কা করা হয়।
বৃহস্পতিবারের হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান শুর হয়েছে মিয়ানমারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও দুই তরুণী নিখোঁজ রয়েছেন।
গ্রামবাসীর আশঙ্কা তাদের দু’জনকেও হত্যা করা হয়েছে।
অমুসলিম বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখের বেশি মুসলিমের বাস। তবে মিয়ানমারের অনেকেই তাদের বাংলাদেশি শরণার্থী বলে মনে করেন।
জাতিংসঘের কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত সপ্তাহে এ অঞ্চল থেকে চার অমুসলিম নিখোঁজ হয়েছেন, সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে তিন মুসলিমের মরদেহ।
সূত্র : রয়টার্স/ জাগো নিউজ