নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়ে ২০১২ সালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়। এর পর পেরিয়ে গেছে প্রায় চার বছর। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন সমুদ্র থেকে মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন শুরু করে দিলেও অনেকটা পথ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। উত্তোলন দূরে থাক, মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্নসহ গোটা সমুদ্রের কোথাও কোনো ব্লকেই তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি ঢাকা। এদিকে গত বছরই দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, সমুদ্র সীমান্তে মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন শুরু করায় বাংলাদেশের গ্যাস ব্লকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেÑ এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে গোয়েন্দা সংস্থাটি পরামর্শ দিয়েছিল এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে যথাযথ নজরদারির ব্যবস্থা করার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি সংকট ক্রমেই বাড়তে থাকলেও খনিজসম্পদ উত্তোলনে পিছিয়ে পড়ছে দেশ। দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছেÑ দেশে গ্যাস নেই, গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে, উৎপাদনে আমদানিনির্ভর ব্যয়বহুল এলএনজির মতো জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়ছে দেশ। এমনকি আবাসিক খাতেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে সীমিত মজুদের কথা বলে। অথচ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ঠিকমতো অনুসন্ধানই করা হচ্ছে না। এ জন্য তারা আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা ও সরকারের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন।
বিরোধ নিষ্পত্তির পর প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ব্লকগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে দিলেও বাংলাদেশের সমুদ্র ব্লকগুলো এখনো পর্যন্ত ইজারা প্রদানই সম্পন্ন হয়নি।
বছরখানেক আগে একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা জরিপ শেষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে সরকারের কাছে। ওই প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়, বাংলাদেশের গ্যাস মিয়ানমার উত্তোলন করছে কিনাÑ তা নজরদারি করতে যেন একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বরাবর সুপারিশযুক্ত ওই প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সমুদ্রে মিয়ানমারের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ব্লকগুলো। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমায় চারটি ব্লক সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। এর মধ্যে ক্রিস এনার্জি ও সান্তোসকে যৌথভাবে একটি ব্লক ইজারা দেওয়া হয়েছে। যদিও সেখানে কাজই শুরু হয়নি। অন্য তিনটি ব্লক ইজারা দেওয়ার কার্যক্রমই শুরু করেনি পেট্রোবাংলা। অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ব্লকগুলোতে তৃতীয়মাত্রার ভূকম্পন জরিপ শেষ করে এখন কূপ খনন চলছিল বছরখানেক আগেই। রাখাইন রাজ্যের গভীর সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনের কাজও শুরু করেছে দেশটি।
জানা যায়, সমুদ্রসীমায় ব্লক এ-১, এ-২ এবং এ-৩, সুফু, সু ও মিঞা নামের তিনটি বড় গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে মিয়ানমার। সেই বিবেচনায় অন্য ব্লকগুলোও সম্ভাবনাময়। কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানের কারণে বাংলাদেশেরও গ্যাসপ্রাপ্তির বিষয়টি খুবই সম্ভাবনাময়।
এদিকে জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলা সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সাগরে দেশের গ্যাস ব্লকগুলো ইজারা দেওয়ার জন্য সরকার দ্বিতীয়মাত্রার জরিপ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। দ্বিতীয়মাত্রার জরিপের পর দেশের সমুদ্র এলাকায় কী সম্পদ আছে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। পরে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে দরপত্রে অংশ নিতে আহ্বান করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে দ্বিতীয়মাত্রার জরিপের কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত কোনো কোম্পানিকে কাজ দিতে পারেনি পেট্রোবাংলা। তবে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সমুদ্র ব্লক থেকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টেন্ডার ছাড়াই সমঝোতার ভিত্তিতে বিশেষ আইনে সমুদ্র ব্লক ইজারা দেওয়ার। জ্বালানি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে নির্ধারিত কিছু বিদেশি কোম্পানিকে ব্লকগুলো ইজারা দেওয়া হবে। বিশেষ করে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ মিটে যাওয়ার পর নতুন ম্যাপ অনুযায়ী সমুদ্র ব্লক ডিএস-১০, ডিএস-১১, ডিএস-১৬ ও ডিএস-২১ হতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনে বিশেষ আইন ব্যবহার করে বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশের গভীর সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনের জন্য মিয়ানমার ইতোমধ্যে কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শেল অয়েল এবং জাপানের মিটস্যু অয়েল কোম্পানির সঙ্গে রাখাইন স্টেটের গভীর সমুদ্রে এডি-৯ ও এডি-১১সহ তিনটি গভীর সমুদ্র ব্লকে অনুসন্ধানে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, কিছু ব্লকে অনুসন্ধান শেষ করে কূপ খনন ও গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পরপরই মিয়ানমার এসব ব্লকে ত্রিমাত্রিক জরিপকাজ সম্পন্ন করে এবং এর পর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গ্যাস উত্তোলনে চুক্তিও করে ফেলে। রাখাইন রাজ্যের আরও কয়েকটি গভীর সমুদ্র ব্লক নিয়েও চুক্তির প্রস্তুতি চলছে দেশটির। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিকল ও কনোকো-ফিলিপসের মতো কোম্পানিও রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যের চকপিউসহ নিকটবর্তী গভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লক এ-১, এ-২ ও এ-৩ থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু কোম্পানি। আহরিত গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে চিনে সরবরাহ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের খনিজসম্পদ বিভাগ ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রায় ২০টি গভীর সমুদ্র ব্লকে দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।
এদিকে জ্বালানি বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৭টি উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় ৫টি বিদেশি কোম্পানি ৮টি ব্লকে কাজ করছে। এর মধ্যে স্থলভাগের জন্য তিনটি পিএসসি ও সমুদ্রের ব্লকের জন্য ৪টি পিএসসি স্বার হয়েছে। স্থলভাগের ১২ (বিবিয়ানা), ১৩ ও ১৪ (জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার) ব্লকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরন এবং ৯ নম্বর (বাঙ্গুরা) ব্লকে তাল্লো ও ক্রিস এনার্জি এবং সমুদ্রের ১৬ নম্বর ব্লকে (মাগনামা) সান্তোস কাজ করছে। আর অগভীর সমুদ্রের ১১ ব্লকে সান্তোস ও ক্রিস এনার্জি এবং ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে ভারতীয় দুই কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ লিমিটেড (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওআইএল) ইজারা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ অফশোর বিডিং মডেল পিএসসি ২০০৮-এর অধীনে সমুদ্রসীমার ২৮টি ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। ৭টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ করলেও চুক্তি হয় মাত্র দুটি ব্লকের জন্য। এ সময় ১২টি ব্লকের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। ২০১১ সালের ১৬ জুন সাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকের জন্য কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। দুবছর কাজ করার পর ব্লক পিসএসসির আর্থিক শর্তাবলির কারণে ব্লক দুটোতে বিনিয়োগ অলাভজনক হবে এমন অজুহাতে ২০১৪ সালের ১৫ জুন ব্লক দুটি ছেড়ে দেয় কনোকো।
পিএসসি ২০১২-এর আওতায় ২০১৩ সালে অগভীর সমুদ্রে ৯টি ও গভীর সমুদ্রে ৩টি ব্লকের জন্য চতুর্থ দফা দরপত্র ডাকে পেট্রোবাংলা। এ দরপত্রে চারটি ব্লকে তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। অগভীর সমুদ্রে ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে ভারতীয় দুই কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ লিমিটেড (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওআইএল), ব্লক ৭-এ কনোকো ফিলিপস এবং ব্লক ১১-তে সান্তোস-ক্রিস এনার্জি দর প্রস্তাব জমা দেয়। এর মধ্যে সান্তোস-ক্রিস এনার্জির সঙ্গে ২০১৪ সালের মার্চে চুক্তি হয়। ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি হয়েছে। তবে কনোকো ফিলিপস পরে ৭ নম্বর ব্লকও ছেড়ে দিয়েছে।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আরেকটি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। একমাত্র দরদাতা হিসেবে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএস-১২, ডিএস-১৬ ও ডিএস-২১ এই তিন ব্লকের জন্য যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল কনোকো ও স্টেট অয়েল। তবে এখান থেকেও কনোকো নিজেদের সরিয়ে নেয়। ব্লক তিনটিতে স্টেট অয়েল কাজ করতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান জটিল একটি প্রক্রিয়া। এটি সময়সাপেক্ষও বটে। ফলে আমরা সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিশেষ আইন ব্যবহার করে সমুদ্রের ব্লকগুলো ইজারা দেওয়ার। এতে করে দ্রুত অনুসন্ধান ও উত্তোলনকার্য শুরু করা সম্ভব হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ভূতাত্ত্বিক অধ্যাপক বদরুল ইমাম আমাদের সময়কে বলেন, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতার কারণে খনিজসম্পদ উত্তোলনে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে দেশে গ্যাস নেই। গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। এসব বলে বলে আমদানিনির্ভর ব্যয়বহুল এলএনজির মতো জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়ছে দেশ।
তিনি মনে করেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ঠিকমতো অনুসন্ধান করা হচ্ছে না। এতদিন দেশে যে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে, সেগুলোর কূপ অনেক আগে থেকেই খনন করা ছিল। ফলে সহজেই গ্যাস উত্তোলন করা গেছে। এখন তেল-গ্যাস অনুসন্ধান-উত্তোলনে সঠিক গতিতে কাজ চলছে না।
বদরুল ইমাম আরও বলেন, আমলাদের ফাইল চালাচালির কারণে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অগ্রগতি হচ্ছে না।
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সীমান্তবর্তী সব ব্লকে কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার। সেখানে বাংলাদেশ ব্লকগুলো ফেলে রেখেছে। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী ব্লকগুলোতে মিয়ানমার গ্যাস ক্ষেত্র পেয়েছে। পুরোদমে উত্তোলন শুরু করলে ঝুঁকির মুখে পড়বে বাংলাদেশের ব্লক। যদি ভূগঠন একই হয় সে ক্ষেত্রে মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন শুরু করলে বাংলাদেশের গ্যাস মিয়ানমার তুলে নিতে পারে।
অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে এত সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। আমরা অনেক আগেই বলেছি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে এনে দ্রুত এ খাতকে শক্তিশালী করার কথা। কিন্তু কমিশনের লোভে সরকার বিদেশি কোম্পানিগুলোর দিকে ঝুঁকছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের অবসান ঘটে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে অমীমাংসিত ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে ন্যায্যহিস্যা লাভ করে।