প্রকাশিত: ১৫/০৭/২০১৬ ৭:০৬ এএম
(ফাইল ছবি)
(ফাইল ছবি)
(ফাইল ছবি)

উখিয়া নিউজ  ডেস্ক ::   মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবানের প্রত্যন্ত সীমান্ত দিয়ে সর্বনাশা মাদক ইয়াবার চালানের পাশাপাশি জঙ্গিদের গ্রেনেড তৈরির অন্যতম উপকরণ ডেটোনেটরও আসছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, গ্রেনেড তৈরির জন্য যা যা উপাদান প্রয়োজন, জঙ্গিরা সেগুলোর বেশিরভাগ নিজেরা তৈরি করতে পারলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাইরে থেকে আনতে পারে। এ কারণে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো জরুরি।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, দেশে নানা নামে যেসব জঙ্গি সংগঠনের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে-তারা ঘরে বসে গ্রেনেড তৈরি করছে। সম্প্রতি ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সময় এসব গ্রেনেড ব্যবহার হয়েছে। এসব গ্রেনেডের অন্যতম উপাদান লিভার, পিন, ডেটোনেটর ইত্যাদি। এগুলো জঙ্গিদের মধ্যে প্রশিক্ষিত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবেও তৈরি করে নিতে পারে। তবে এসবের মধ্যে একটি গ্রেনেডকে পূর্ণমাত্রায় বিস্ফোরিত করার জন্য ডেটোনেটর একটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ। এই স্পর্শকাতর উপকরণটি তৈরিতে জঙ্গিদের যথেষ্ট কারিগরি ও যান্ত্রিক সক্ষমতা আছে কিনা সেটি একটি প্রশ্ন। যদি না থাকে তবে কক্সবাজার, বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে এসব আসতে পারে-এ আশঙ্কা করা যায়।

এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা আরো বলেন, আমার জানা মতে মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের একটি সীমান্ত খোলা রয়েছে। সেখানে সান, কারেন নামের ইনসার্জেন্ট গ্রুপগুলো সক্রিয় রয়েছে। সেখান থেকে জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র, গ্রেনেড তৈরির উপাদান ডেটোনেটর ইত্যাদি অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আসতে পারে। আবার ঢাকার ধোলাইখালে ডেটোনেটরসহ সব বিস্ফোরক উপাদান বানানো যায় এটাও সত্য।

চট্টগ্রামের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, গ্রেনেডের স্প্রিং, লিভার, রিং ইত্যাদি জঙ্গিরা যে কোনো ছোটখাট ওয়ার্কশপ থেকে তৈরি করে নিতে পারে। তবে ডেটোনেটর চোরাচালান হয়ে জঙ্গিদের হাতে আসার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, এক সময় মিয়ানমার সংলগ্ন বান্দরবান, কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় নানা ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ধরা পড়ত। তবে গত দেড় বছর ধরে অস্ত্র ধরা পড়া কিংবা অস্ত্র কারখানা আবিষ্কারের খবর কেউ দিচ্ছে না। তবে এটা ঠিক বাইরে থেকে অস্ত্র, ডেটোনেটর ইত্যাদি ভেতরে আসার একাধিক রুট ডেফিনিটলি আছে। নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে সেগুলো আসতেও পারে। তাই সীমান্তে আরো কঠোর নজরদারি রাখা দরকার।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের যেসব সদস্য অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে তাদের কাছে ঘরে তৈরি গ্রেনেডও পাওয়া গেছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা এসব গ্রেনেডকে স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘মারাত্মক বিস্ফোরক’ বলে অভিহিত করেছেন। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর এসব গ্রেনেড তৈরির সময় চট্টগ্রামে লালখান বাজার মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিন জন নিহত হয়েছিল। ওই সময় পুলিশ বিধ্বস্ত ছাত্রাবাস ঘেরাও করে বিপুল পরিমাণ ঘরে তৈরি গ্রেনেড, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জামের মধ্যে রাসায়নিক পদার্থ, স্প্লিন্টার, ডেটোনেটর ইত্যাদি উদ্ধার করে।

সুত্র::ইত্তেফাক

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...