আবদুল্লাহ আল আজিজ::
সর্বনাশা মাদক দ্রব্য ইয়াবার পর উখিয়া উপজেলা সহ বিভিন্ন সীমান্তের অবৈধপথে এবার মিয়ানমার থেকে আনা হচ্ছে সিগারেটের চালান এবং এতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত আছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায় ক্যাম্পের অলিগলিতে গড়ে ওঠেছে অসংখ্য দোকানপাট। রোহিঙ্গাদের তত্বাবধানে গড়ে ওঠা এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে দেশী বিদেশী নিত্য পন্য ছাড়াও বার্মিজ সিগারেট। আবার সুযোগ বুঝে এসব দোকানীরা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছে, এমন অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের।
তারা জানান রোহিঙ্গাদের ও উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন দোকানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম মাদক দ্রব্য। যার ফলে স্থানীয় যুব সমাজ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়ছে।
জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি মেটোপথ ও উখিয়ার নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে চায়নায় তৈরী বিবিধ নমুনার সিগারেটের চালান ।
এসবের মধ্যে রয়েছে, ওরিস ন্যানো, ওরিস লাইট, ইএসএস লাইট, প্রাইড, মন্ড ছাড়াও রয়েছে চিকন শলার অনেক সিগারেট।
সম্প্রতি এবারের বাজেটে মুল্যবৃদ্ধির চাপে ধুমপায়ীদের মধ্যে আকাল দেখা দিয়েছে। এ সুবাধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক চোরাচালানীরা কমদামে এসব সিগারেট বাজারের ছেড়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ৮এপিবিএন পুলিশ গোপনীয় সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পে তল্লাশী করে প্রায় ৫০লাখ টাকার চোরাই পথে আনা অবৈধ সিগারেট জব্দ আইনের কাছে সোপর্দ করেছে এবং র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন র্যাব সদস্যরা কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সিগারেট ডিলার শাহ জালালের ভাই নাছির উদ্দিন ১৪শ ৪৬ কার্টুন সিগারেটসহ আটক করে র্যাব । এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধ সিগারেটের চালান ঘুনধুম কচুবনিয়া ব্রিজ এলাকায় ১৫শ’ প্যাকেট বিদেশী সিগারেটসহ মোহাম্মদ ইমরান নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে কোর্টে পাঠিয়েছে।
সরকার দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। যুবসমাজকে ধ্বংসের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একশ্রেনীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক চোরাকারবারী বেশ তৎপর হয়েছে। তারা বাংলাদেশের এ বাজারকে টার্গেট করে মিয়ানমার ভিত্তিক চোরাচালানীর মাধ্যমে এসব অবৈধ সিগারেটের চালান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে আনছে।
সূত্র জানায়, এসব সিগারেট ছাড়াও মিয়ানমারের তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, বিয়ার, ইয়াবা, আইস, বাংলাদেশের সীমান্ত উপজেলা উখিয়া ও টেকনাফের জল ও স্থলপথে। এরপর রোহিঙ্গা শিবিরে মজুদ করে দেশের বিভিন্ন পাচান হয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর হাতে ধরাও পড়েছে এসব অবৈধ পণ্যের চালান। এই অবৈধ পণ্যের সঙ্গে জড়িত ও হাতেনাতে আটক হয়ে রোহিঙ্গা-স্থানীয়দের অনেকে কারাবন্দীও রয়েছে।
এদিকে, উখিয়ার যুব সমাজকে বাঁচাতে মাদকের বিস্তৃতি কমাতে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা
পাঠকের মতামত