মিয়ানমারের সীমান্তে মঙ্গলবার আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এটি বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম সীমান্ত বরাবর মিয়ানমারের সীমান্তের ভেতরের ঘটনা। শোনা গেছে ভারী গোলাবারুদের শব্দও। এ ছাড়া সীমান্তের উপারে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে কোনো গোলা বাংলাদেশের ভেতরে এসে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং পরে দুপুর ১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বাংলাদেশের স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি (এএ) গত সপ্তাহে সে দেশের একটি বিজিপি ক্যাম্পে হামলা চালানোর পর থেকে ছোট ছোট ক্যাম্প এখন সেনাশূন্য হয়ে পড়েছে বলে এক রোহিঙ্গা নেতা দাবি করেছেন।
তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের পশ্চিম আরাকানে সে দেশের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তের উপারে পশ্চিম ও উত্তর আরাকানের দুর্গম পাহাড় ও গহিন জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে।
ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে এলাকার কোনো বাসিন্দাকে সীমান্ত এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্তে বিজিবি সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সীমান্তের নানা সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়গুলোর অবস্থান হলো এসব এলাকায়। ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর ভয়াল অপারেশনের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের এমন মোক্ষম সময়েই আরাকান আর্মির হাজার হাজার সদস্য ঘাঁটি স্থাপন করে উঁচু পাহাড়গুলোতে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ