কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় কেটে ও বনাঞ্চল উজাড় করে বন বিভাগের জমি দখলের মহোৎসব চলছে। পাহাড় কাটার দৃশ্য আড়াল করতে জবর-দখলকৃত জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে পানের বরজ ও বসতি ।
উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী জিনেরঘোনা এলাকায় গত শনিবার দুপুরে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, পাহাড় ও বনের গাছ কেটে তৈরী করা একাধিক পানের বরজ। বিশাল আকারের দুটি পাহাড় কেটে তৈরী করা হচ্ছে এসব পানের বরজ। কালো প্লাষ্টিক ও বাঁশের ঘেরা-বেড়া দিয়ে আড়াল করা হয়েছে পাহাড় কাটার দৃশ্য। পাহাড় ও গাছ কাটার পর সেসব স্থানে কৌশলে পানের বরজ করা হচ্ছে। পানের বরজ করার পরও ভিতের গোপনে পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখা গেছে। মূলত পানের বরজ করার নামে কৌশলে জমি দখল করতেই পাহাড় কাটা হচ্ছে। এসময় সংবাদকর্মীর উপস্থিতি দেখে পাহাড় কাটায় জড়িতরা সটকে পড়েন। এরপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাহাড় কাটায় জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- পাশাপাশি দুটি পাহাড় ও বনের গাছ কেটে এসব পানের বরজ করছেন ওই এলাকার মৃত আমির হামজার ছেলে সুলতান আহমদ ও আব্দুল আজিজের ছেলে মো. হোছন প্রকাশ ধইল্যা। দিনরাত পাহাড় কেটে পানের বরজ করার নামে বন বিভাগের বিপুল জমি জবরদখল হলেও পাহাড় নিধন ও বন রক্ষায় বন বিভাগের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দা জালাল আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন ও ছিদ্দিক আহমদের ছেলে রমজান মিয়া জানিয়েছেন- ২ সপ্তাহ ধরে সুলতান আহমদ ও মো. হোছনের নেতৃত্বে এখানে পাহাড় নিধন ও গাছ কাটা হচ্ছে। এরপর পাহাড়ের মাটি সমান করে তাতে রাতারাতি পানের বরজ করা হয়েছে। পানের বরজের আড়ালে এখনো চলছে পাহাড় কাটা। এভাবে পাহাড় কেটে পানের বরজ করার উদ্দেশ্যই হলো বনের জমি দখল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের কর্মকর্তা রতন লাল মহত জানান- পাহাড় কাটার বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে এখন এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।