মূলত ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা হলির উৎসব পালন করে। দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বঙ্গে দোল উৎসব নামে পরিচিত হলেও বাংলার বাইরে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রার একটা সম্পর্ক রয়েছে।
হিন্দু ধর্ম অনুসারে চারটি যুগ-সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ। বর্তমানে চলছে কলিযুগ। এর আগের দ্বাপরযুগ থেকে শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা বা দোল উৎসব চলে আসছে। বলা হয়, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে ফাল্গুনী পূর্ণিমায়। আবার, ১৪৮৬ সালের এই পূর্ণিমা তিথিতেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু জন্মগ্রহণ করেন বলে একে গৌর-পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করেন বৈষ্ণব বিশ্বাসীরা। তবে এর মূল তাৎপর্য হলো রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্কের উপাখ্যানে।
হোলি উৎসবের উৎপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, অবতার শ্রীকৃষ্ণ একদা বৃন্দাবনে রাধা ও তার সখীদের সঙ্গে লীলারত ছিলেন। সে সময় হঠাৎ শ্রী রাধার রজঃশ্রাব শুরু হয় এবং তাতে তার বসন রঞ্জিত হয়। এতে করে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণ লজ্জিত ও বিব্রত হয়ে পড়েন। এ সময় শ্রীকৃষ্ণ রাধার লজ্জা ঢাকতে এবং বিষয়টি তার সখীদের নিকট গোপন করতে শ্রী রাধা ও তার সখীদের সাথে আবীর খেলা শুরু করেন এবং তাদের আবীর দিয়ে রাঙিয়ে দেন।
শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও তার সখীদের এই আবীর খেলার স্মরণে হিন্দু সমাজে হোলি উৎসবের প্রচলন হয়েছে। উৎপত্তি যে প্রকারেই হোক, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পালন নিয়ে কোনো আপত্তি ওঠেনি কোথাও। কিন্তু মুসলিম সমাজে যখন এই উৎসব পালিত হতে শুরু করে তখন তা নিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না।
একটি অন্যধর্মের উৎসবে মেতে থাকা অবস্থায় যদি আপনার মৃত্যুবরন হয় বা সেখানে আল্লাহ গজব নেমে আসে, কি হবে ভাবতে পারছেন? সবকিছু ভেবে আজ মাঠে নেমেন।
পাঠকের মতামত