শুধু নিজের জন্য নয়, উচ্চশিক্ষা লাভ করে দেশ, সমাজ ও বিশ্বমানবতার সেবার ব্রতে আত্মনিয়োগ করতে তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সমাজে স্বার্থপরতার অবক্ষয় রোধে তরুণদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় গাজা প্রসঙ্গ তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলো আরও ঐক্যবদ্ধ থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন রোধ করা যেতো।’ তিনি বলেন, ‘চলমান সংঘাত বন্ধে ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব গড়তে বিশ্ব জনমত তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।’
শুক্রবার গাজীপুরের বোর্ডবাজারে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অভ টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সময়ের বিবর্তনে মানুষ আজ ক্রমেই স্বার্থপর হয়ে উঠছে। অন্যের কথা আর ভাবতে চায় না। এই অবক্ষয় থেকে সমাজকে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে অগ্রণী হতে হবে।
আইইউটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওআইসির সহকারী মহাসচিব ড. আহমদ কাওয়েসা সেনজেনডো।
তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেমে হাছান বলেন, ‘জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র এবং স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা এই যুদ্ধজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না, সেই স্বপ্ন আর স্বপ্নজয়ের প্রচেষ্টা একাকার হলে বিপুল বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তির উদ্ভব হয়। আর এই শক্তি অপ্রতিরোধ্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অর্গানাইজেশন অভ ইসলামিক কো-অপারেশন-ওআইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আইইউটি আজ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষায় এক অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সামনের দিনগুলোতেও আইইউটি ‘‘সেন্টার অভ এক্সিলেন্স’’ হিসেবে তার অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।