এম.শাহজাহান চৌধরী শাহীন, কক্সবাজার::
দু’সন্তানের জননী হাসিনা খাতুনকে উর্পযুপুরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার পর চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এনে জরুরী বিভাগের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়েছে স্বামী আবদুল আজিজ।
গত মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বর এলাকায় অমানবিক ও বর্বর এ ঘটনাটি ঘটে। ওই হাসিনা বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
ছরিকাহত হাসিনাকে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে (মঙ্গলবার রাতে) কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়।
জানা যায়, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বর এলাকার ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে আবদুল আজিজের সাথে ১১ বছর পূর্বে কক্সবাজার শহরের লাইটহাউস পাড়ার মৃত আবদুল হাকিমের মেয়ে হাসিনা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। এরই জের ধরে স্বামী আজিজ মঙ্গলবার ( ৩১ মে) বিকাল ৫টায় স্ত্রী হানিসার বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উর্পযুপুরি ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত স্ত্রীকে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সেখানে হাসিনার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপালে রেফার করে টেকনাফ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যথারীতি মঙ্গলবার রাতে হাসিনাকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনেন। তাকে জরুরী বিভাগের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আবদুল আজিজ।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নোবেল কুমার বড়–য়া জানান, ছুরিকাহত হাসিনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।