টেকনাফের বাহারছড়া মাথা ভাঙা মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ঝোপঝাড়ে লতাপাতায় বেষ্টিত প্রায় আড়াইশো বছর আগের প্রাচীন একটি মসজিদের সন্ধান মিলেছে।
অযত্নে অবহেলায় দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকা এই মাসজিদটি ইংরেজ আমলে স্থানীয় জৈনক ফজলুর রহমান মিয়াজী নামক এক ব্যক্তি নির্মাণ করেছিলেন। প্রায় শত বছর দেখাশোনার পর পরবর্তী সময়ে ফজলুর রহমান মিয়াজী সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা শরীফে হজ্জ করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি তার অবর্তমানে তারাই জামাতা হাজি আব্দু শুক্কুরও প্রায় ৮০-৯০ বছর মসজিদের খাদেম হিসেবে দেখবাল করেন।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাহার ছড়ার এই এলাকায় মানুষের বসবাস শুরু হয়েছিল মূলত ১৭৭৭ সালের পরে সেই সময় এলাকায় এই মসজিদটিই প্রথম জুমা মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল।
স্থানীয় প্রবীণ মুরব্বি সেলিম উল্লাহ জানান, ছোট কাল থেকেই মসজিদটি তারা এভাবেই দেখতে পারছেন মূলত ১৯৯১ সনে মহা ঘুর্নিঝড়ে মসজিদটি ভেঙে পড়ে তারপর থেকে এভাবেই পড়ে আছে মসজিদটি। পুরাকালীন এই মসজিদের প্রস্থ আনুমানিক ১৬ ফিট ও দৈর্ঘ প্রায় ২০ ফিটের মত। মসজিদটির দক্ষিণে রয়েছে দুটি গম্বুজ এবং উত্তরে রয়েছে উঁচু একটি মিনার এবং দক্ষিণে ও উত্তরে দুটি করে জানালা রয়েছে পূর্ব অংশের দেয়ালটি পুরা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে আর পশ্চিমে মেহরাবের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণে ১টি করে দুটি জানালা রয়েছে।
মসজিদ নির্মাণে যে কনক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে তা সাধারণ ইটের কনক্রিট নয়, তা মূলত পাথারের কনক্রিট। এসব কনক্রিট পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত পাহাড়ি খালের পাথারের কনক্রিট বলে ধারা করা হচ্ছে মানে সিলেটে পাথারের মত।
স্থানীয় অনেকের দাবি পর্যটন শিল্পের সম্ভবনাময় মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন প্রাচীন এই মসজিদটি সংস্কার করে দর্শনীয় স্থান হিসেবে পুননির্মাণ করে পর্যটক আকর্ষণসহ নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের প্রতি জোরালো আবেদন জানাচ্ছেন।