আরেকটি মেসিময় ম্যাচ। সঙ্গে যুগলবন্দী জুলিয়ান আলভারেজ। এই মানিকজোড়ের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে স্বপ্নের ফাইনালে আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল আলভারেজের, এ নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ৪ গোল ২২ বছর বয়সী এই তরুণের। পেনাল্টি থেকে অপর গোলটি করেছেন লিওনেল মেসি, কাতার বিশ্বকাপে এটি তার পঞ্চম গোল। শিরোপা থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচের শুরুতে নিজেদের মধ্যে বল ধরে খেলার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে উঠেন মেসিরা। অন্য দিকে ক্রোয়েশিয়া খেলছিল প্রেসিং ফুটবল। মেসিদের পায়ে বল থাকলেই তাড়া করেন মদ্রিচরা।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে বলের দখল অনেক বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে। দ্রুতগতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে তারা। তবে ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। বক্সের মধ্যে ফের্নান্দেজকে ফাউল করেন ক্রোট গোলকিপার লিভাকোভিচ। পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
মেসি-আলভারেজ যুগলবন্দীতে স্বপ্নের ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এরপর ৩৯ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। প্রতি আক্রমণ থেকে নিজেদের অর্ধে বল ধরে প্রায় ৫০ গজ দৌড়ে যান তিনি। বক্সের বাইরে তিন ডিফেন্ডারকে চমক দিয়ে বক্সে ঢোকেন। লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে গোল করেন তিনি। তবে সেই গোলে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারদেরও ভুল ছিল। আলভারেজকে আটকাতে পারেননি তারা।
মেসি-আলভারেজ যুগলবন্দীতে স্বপ্নের ফাইনালে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে তৃতীয় গোল করে ফেলতে পারতো আর্জেন্টিনা। মেসির কর্নার থেকে জোরালো হেড করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। কোনও রকমে সেই বল বাঁচান লিভাকোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণ বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু নিজেদের রক্ষণ মজবুত রাখে আর্জেন্টিনা। ফলে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও হঠাৎই প্রতি আক্রমণ চালান মেসিরা।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে ম্যাচের তৃতীয় গোল করেন আলভারেজ। তবে গোলটি যত না তার, তার থেকে অনেক বেশি মেসির। ডান প্রান্তে সাইড লাইনের কাছে বল ধরে ডিফেন্ডারকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে এগিয়ে যান মেসি। পায়ের কাজ দেখাতে দেখাতে বক্সে ঢোকেন। তার পরে বল রাখেন অরক্ষিত আলভারেজের কাছে। ডান পায়ে গোল করে ব্যবধান বাড়াতে ভুল করেননি আলভারেজ।
শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। নিজের শেষ বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল মদ্রিচকে। আগের বার ফাইনালে গিয়ে হেরেছিলেন। এ বার সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেল লড়াই।