হাতে মেহেদির রঙ মুছার আগেই ফেনী সদরের লেমুয়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ফেনী সদরের লেমুয়া ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে নার্গিসের সঙ্গে গত এপ্রিল মাসে পারিবারিকভাবে ফরহাদ নগর ইউনিয়নের কাটা মোবারক ঘোনা এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবু ইউসুফের বিয়ে হয়।
নার্গিসের পরিবার জানায়, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে ইউসুফ ও তার পরিবারের লোকজন নার্গিসের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করে। গত মাস থেকে যৌতুক দাবিতে নার্গিসের উপর নির্যাতন শুরু করে স্বামী ইউসুফ। যৌতুক না দিলে দিনদিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, ইউসুফ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। এ ব্যাপারে নার্গিস বাধা দিলে প্রায়ই স্বামী ইউসুপ তাকে মারধর করতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে এসব ঘটনা নিয়ে নার্গিসের সঙ্গে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তারা নার্গিসকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নার্গিসের পরিবার জানায়, শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে নার্গিসের বাবাকে জানানো হয় নার্গিস আত্মহত্যা করেছে। পরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নার্গিসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফেনী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে কিছু বলা যাবে না। বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জাগো নিউজ
পাঠকের মতামত